স্থানীয়রা জানান, ঘাতক সবুজ একই উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ময়নাল হোসেনের ছেলে। পারিবারিক কলহের জেরে ঘটনার দিন সকালে নিহত ইলিয়াস হোসেনের বাড়িতে যান সবুজ। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে কোমরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ইলিয়াসকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন।
নিহতের ভাতিজা আব্দুল্লাহ জানান, ‘সবুজ দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে টাকা চেয়ে আমার বোনকে নির্যাতন করত। তিন দিন আগে আমার বোনকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে গতকাল রাতে আমাদের বাড়িতে আসে। আজ সকালে কথা কাটাকাটির সময় হঠাৎ চাচাকে ছুরিকাঘাত করে। আমি ঠেকাতে গেলে আমাকেও আঘাত করে। আমি এই খুনির ফাঁসি চাই।’
ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা সবুজকে আটক করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টিম, গাংনী থানা পুলিশ এবং স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং সবুজকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, ‘খবর পাওয়ার পরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। ঘাতককে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’