চার দশক পর চাঁদপুরের পুরানবাজার রাজা খালের সংস্কার শুরু

এখন জনপদে
0

দীর্ঘ ৪ দশক পর শুরু হয়েছে চাঁদপুরের পুরানবাজার রাজা খাল সংস্কার কাজ। এতে জলাবদ্ধতা নিরসন হয়ে ভোগান্তি কমবে স্থানীয় বাসিন্দাদের। কর্তৃপক্ষ বলছে, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১০টি খালের সংস্কার কাজ চলছে। যাতে খালে পানির প্রবাহ বেড়ে সেচ সুবিধা পাবেন কয়েক লাখ কৃষক।

দেখে বুঝার উপায় নেই। অথচ এক সময় এই খালেই প্রবাহিত হতো স্বচ্ছ পানির ধারা। যা স্থানীয়দের দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি ব্যবহৃত হতো কৃষিকাজে। কিন্তু দীর্ঘদিনের অযত্ন, অবহেলা আর সংস্কারের অভাবে পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে।

চাঁদপুরের পুরান বাজার ডাকাতিয়া নদী থেকে দোকানঘর এলাকা পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটারের এই খালটি স্থানীয়দের কাছে রাজা খাল নামে পরিচিত। খালটি ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় পানিপ্রবাহ।

এতে প্রতি বর্ষায় পানি নিষ্কাশন না হয়ে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা ও বন্যার। তবে আশার কথা হচ্ছে, ৪ দশক পর হলেও অবশেষে শুরু হয়েছে খালটির সংস্কার। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের এমন উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও।

একজন জানান, অন্যান্য বছর বন্যা হলে পানি নামতে পারতো না। এখন খাল কাটা হয়েছে। এখন বর্ষাকালে পানি নামতে পারবে। আরেকজন জানান, এক সময় আমরা খালে মাছ ধরেছি। কিন্তু এখন খালে নামার উপায় নেই।

পুরানবাজার রাজা খালের পাশাপাশি চলতি অর্থবছরে জেলায় সংস্কার করা হচ্ছে ছোট-বড় আরো ৯টি খাল। ইতোমধ্যে ৩টি খালের খনন শেষ হয়েছে। চলমান রয়েছে বাকি ৭টি খালের খনন কাজ। যা শেষ হলে সেচের আওতায় আসছে কয়েক হাজার হেক্টর কৃষি জমি। এতে এক ফসলি জমিতে সুযোগ হবে একাধিক ফসল আবাদের।

এক কৃষক জানানা, কৃষির জন্য ভালো হয়েছে। এটা সরকার খুব ভালো একটা কাজ করেছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, খালগুলো সংস্কার হলে জেলার জলাবদ্ধতা নিরসন, বন্যা নিয়ন্ত্রণের সহজ হওয়ার পাশাপাশি বেগবান হবে কৃষির উৎপাদন।

চাঁদপুর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসান কবির বলেন, ‘খননের পর পানি সুন্দরভাবে প্রবাহিত হবে এবং পরিবেশের একটা ভারসাম্য রক্ষা হবে। তাছাড়া শুষ্ক মৌসুমে মানুষ এখান থেকে পানি নিতে পারবে এবং কৃষিকাজ করতে পারবে।’

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের এই প্রকল্পে সদর উপজেলায় ৩টি, হাজীগঞ্জে ১টি, ফরিদগঞ্জে ১টি এবং কচুয়ায় ৫টি খালের সংস্কার করা হচ্ছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। গেল বছরের নভেম্বরে শুরু হওয়া প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ জুন।

এএইচ