আজ (রোববার, ১৮ মে) দুপুর আড়াইটায় দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় হবিগঞ্জের আয়োজনে ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন এবং জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধে কর্মকর্তাদের সেবা প্রদানে আরো আন্তরিক হতে হবে। সেবাগ্রহীতাদের চাহিদার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সন্তান এবং ভগ্নি ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরো দু’একটি মামলা অনুসন্ধানে রয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের সম্পদের অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের সময়ে সম্পদ বিবরণীসহ বিভিন্ন সময়ে সম্পদের পরিমাণ অনেকাংশে গোপন করা হয়েছে।
তিনি সম্প্রতি জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদ, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন এবং ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার পরেই শুরু হয় অভিযোগকারীদের সরাসরি গণশুনানির কার্যক্রম।
মৌলভীবাজার শিল্পকলা একাডেমিতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (অনুসন্ধান) অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাফিজ আহসান ফরিদ।
জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন, দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আখতার হোসেন, পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন, দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় হবিগঞ্জের উপপরিচালক মো. এরশাদ মিয়া।
বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে মোট ৩০০টির বেশি অভিযোগ পড়ে। মৌলভীবাজারে গণশুনানিতে ৫৯টি সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এর মধ্যে গণশুনানিতে পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ, সাবরেজিস্টার অফিস, সরকারী হাসপাতাল, পিডিবি ও মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জালালাবাদ গ্যাসসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ শুনানি হয়।
গণশুনানিতে জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দপ্তর প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জুলাই যোদ্ধা, সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।