পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য বলছে, সোমেশ্বরী নদীর দুর্গাপুর পয়েন্টে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নদীর পানি বিপৎসীমার ১.৬২ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও কংশ নদের পানি বিপদসীমার ১.৫৮ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, আজ সকাল থেকেই ভারতের মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় সোমেশ্বরীসহ পাহাড়ি ঝর্ণা-ছড়াগুলোতে তীব্র বেগে পানি বাড়তে থাকে। যার ফলে নদীতে সৃষ্টি হয়েছে পাহাড়ি ঢল।
এদিকে সকল প্রকার পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা সব ইউনিয়নগুলোকে সতর্ক করেছি এবং তাদের প্রস্তুতি নিতে বলেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, শিশু খাবার, ওষুধ, পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেটসহ অন্যান্য জিনিসপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। সকল ডিপার্টমেন্টের সাথে যোগাযোগ করে তাদের অ্যালার্ট রাখা হয়েছে। আমরা যেকোনো অবস্থা মোকাবেলার জন্য তৈরি আছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসাইন জানান, সীমান্তবর্তী নদনদী গুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে সোমেশ্বরীসহ আশপাশের নদ-নদী গুলোতে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয়েছে। তবে সবকয়টি নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে ভারী বৃষ্টি হলে নদ নদীর পানি স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।