স্থানীয়রা জানান, ভারতের মেঘালয়ে নতুন করে ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সোমেশ্বরীসহ পাহাড়ি ঝর্ণা-ছড়ার পানি নতুন করে আর বৃদ্ধি পায়নি। যার ফলে পাহাড়ি ঢলের পানিও কমছে। তবে দীর্ঘদিন খরার পর টানা কয়েকদিন বর্ষণে নেত্রকোণার সব নদ-নদীতে পানি আসা শুরু করেছে। হাওরেও ঢুকছে পানি।
স্থানীয় সিদ্দিকুর জানান, গেল কয়েক বছর হাওরে পানি দেরিতে ঢোকায় দেরিতে শুকায়। ফলে বোরো আবাদে দেরি হতো, ফসল হানিরও ভয় থাকতো। কিন্তু প্রকৃতি যদি আপন রূপে ফিরে তাহলে আবারো ঠিক সময় ফসলের আবাদ হবে। কাটাও শেষ হবে আতঙ্কবিহীনভাবে। তবে খালিয়াজুরী ধনু নদের পানি বাড়ছে দ্রুতগতিতে। কংস নদের পানিও বেড়েছে। বেড়েছে মগড়ার পানিও।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য বলছে, গত ১২ ঘণ্টায় সোমেশ্বরী নদীর দুর্গাপুর পয়েন্টে নদীর পানি ১৬৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২৪৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়াও কংস নদের পানি বিপৎসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলছেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাত না হলে সীমান্তবর্তী নদ-নদীর পানি ক্রমান্বয়ে কমে আসবে।