এসময় ইজারাদাররা মাইকিং করে পশু ক্রেতাদের মাঝে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেয়। এতে ৫ শতাধিক পশু ক্রেতা অতিরিক্ত টাকা ফেরত পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এছাড়া টাকা ফেরত পেয়ে উপস্থিত সকল ক্রেতা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেনবাহিনীর প্রশংসা করেন। আর অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার সময় ইজারাদাররা ভবিষ্যতে সরকার নির্ধারিত খাজনার বাইরে অতিরিক্ত খাজনা নিবে না বলে সেনাবাহিনীর কাছে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার উপজেলার জোনাইলে পশুর বড় হাট বসে। হাটের জন্য নির্ধারিত দিন হিসেবে শনিবার দুপুর থেকে হাট জমতে শুরু করে। হাটে প্রতি ছাগলের খাজনা বাবদ ক্রেতার কাছ থেকে ৪০০ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০ টাকা আদায় করা হয়।
অথচ এই খাজনা সরকারি তালিকা অনুযায়ী নেওয়ার কথা ছিল ক্রেতার কাছ থেকে ছাগলের মূল্য অনুসারে ১১০ থেকে ২২০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ২২-৫৫ টাকা।
অপরদিকে ইজারাদাররা গরুর খাজনা বাবদ ক্রেতার কাছ থেকে ৮০০ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ২০০ টাকা আদায় করে। যা সরকারি তালিকা অনুযায়ী নেওয়ার কথা ক্রেতার কাছ থেকে গরুর মূল্য অনুসারে ৩৩০-৬০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৬০-১২০ টাকা।
গেল কয়েকদিন ধরেই কোরবানি পশুর হাটে বাড়তি খাজনা আদায় বিষয়ে বেশ তৎপর সেনাবাহিনী। এবছর জেলায় স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে ২৬টি পশুর হাট রয়েছে।