২০২৫। দেশের ফুটবলের বদলে যাওয়ার বছর। ইংলিশ লিগে খেলা হামজা চৌধুরী আর কানাডা প্রবাসী শোমিত শোমের অন্তর্ভূক্তিতে শোরগোল পড়ে যায় ফুটবলে। দর্শকরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন গ্যালারিতে। মুখ ফিরিয়ে নেয়া বিনিয়োগকারীরা আবারও মুখ তুলে তাকান ফুটবলে।
এমন বৈপ্লবিক পরিবর্তনের বছরেও মাঠের ফুটবলে মোটা দাগে সাফল্য নেই। ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর তৃপ্তি আছে ঠিকই তবে গোটা বছরে ৭ ম্যাচে মাত্র ২ জয় হতাশারই। সঙ্গে এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে উঠতে না পারার আক্ষেপ তো আছেই। সবমিলিয়ে কেমন কাটলো ফুটবলের বছর? জানতে চাই বাফুফে সভাপতির কাছে।
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘ফ্যানরা যে মাঠে যাচ্ছে, ফুল হাউজ খেলা দেখছে এটা আমি মনে করি একটা বড় অর্জন। আগে একটা চিন্তা ছিলো যে টিম হেরে যাবে বা ভালো খেলবে না এখন সে চিত্র উল্টো হয়ে যাচ্ছে। ফ্যানরা আপসেট টিম জিতছে না কেন। আমাদের একটা উইনিং মেন্টালিটি হয়েছে আর টিমের ওপর বিশ্বাস আছে। টিম যেভাবে খেলছে এটা হতাশাজনক যে এত ভালো খেলেও আমরা জিততে পারছি না। যেদিকে আমরা চলে এসেছি যে টিম জিততে পারে এ বিশ্বাসটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ বিশ্বাস থাকা অবস্থায় আমরা যদি জিতি তাহলে সে হারার দায় আমি কাঁধে নিতে রাজি আছি।’
আরও পড়ুন:
দর্শক আর ফলাফল না থাকায় একসময় বিনিয়োগকারীরাও ফিরে যাওয়ায় আর্থিক সংকটে ভুগতে হয়েছে দেশের ফুটবলকে। সঙ্গে স্বচ্ছ্বতার প্রশ্ন তো ছিলই। তবে তাবিথ আউয়ালের কমিটি আবারও নজর কাড়তে পেরেছে পৃষ্ঠপোষকদের।
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘স্বচ্ছতা না থাকলে তো এরকম স্বনামধন্য স্পন্সররা এগিয়ে আসতো না। যেসব স্পন্সরদের সাথে আমরা পার্টনারশিপ চুক্তি সাইন করেছি তাদের সবার কিন্তু একটা ইন্টারনাল অডিট বা এক্সটারনাল অডিট রয়েছে। তো উনারা নিজেরাও কিন্তু নিজেদের চোখ দিয়ে বাফুফেকে একটা কমপ্লাইন্স চোখ দিয়ে দেখছে। আমাদের দায়িত্ব কিন্তু শুধু চুক্তি সাইন করা না, চুক্তি বাস্তবায়ন করা। আমরা এলাও করবো না আমাদের পরে যারা আসবে তারা আর্থিক অনিয়ম বা ঋণ তাদের বোঝা হয়ে যাক যেটা আমাদের উপর এসেছে যেটা খুব অস্বস্তিদায়ক।’
এবার মাঠের ফলাফলে ফেরার পালা। বাফুফে সভাপতি চান, জাতীয় দলকে আবারও বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে।
তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমরা যেখানে শুরু করেছি তার চেয়ে ভালো জায়গায় শেষ করেছি। ছেলেরা এখনো কোনো শিরোপা জিতেনি, ছেলেদের ওইরকম একটা জায়গায় আমরা দেখতে চাই। আমাদের প্রচুর ট্রেনিং এবং রেফারি ট্রেনিং বৃদ্ধি করতে হবে। তো আমি বিশ্বাস করি আমরা হলিস্টিক ডেভেলপমেন্টকে কাইন্ড অফ পাথ ওয়েতে নিয়ে যাওয়া।’





