কোরবানির ঈদ ঘিরে আশাবাদী খামারিরা; ভারতীয় গরুর চালান ঠেকানোর দাবি

দেশি জাতের গরুর খামার
এখন জনপদে
0

কোরবানির ঈদ আসলেই চাহিদা বাড়ে দেশি জাতের গরুর। তাই বছর ধরে গরু লালন পালন করে এখন ভাল দামের আশা করছেন খামারিরা। তবে শেষ মুহূর্তে সীমান্ত দিয়ে গরু চোরাচালান না হলে ভাল দামের আশা তাদের। তবে কোরবানির আগ মুহূর্তে সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু চোরাচালান ঠেকাতে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি খামারিদের।

কোরবানি সামনে রেখে ঝালকাঠিতে প্রস্তুত ৩০ হাজার পশু। জেলার চারটি উপজেলার বিভিন্ন খামার ও গৃহস্থালি পর্যায়ে প্রস্তুত করা হয়েছে দেশি, অস্ট্রেলিয়ানসহ বিভিন্ন জাতের গরু।

জেলার ছোট-বড় ৬ হাজার খামারি কোরবানির ঈদ ঘিরে স্বপ্ন বুনেছেন। প্রান্তিক খামারিদের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠা খামারেও পশু মোটাতাজা করা হয়েছে।

খামারিরা বলেছেন, ‘শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। আমরা আশাবাদী এই বছর ভালো দাম পাবো। গত বছর আমাদের খামার থেকে ১৩টি গরু বিক্রি করেছি। তবে গত বছর দাম তেমন ভাল ছিল না।’ 

তারা অভিযোগ করেন, গরুর খাবারের অনেক দাম। কোরবানির সময় তাদের সমস্যায় পড়তে হয় চোরাই পথে আসা ভারতীয় গরু চালানের জন্য। ভারতীয় গরু চোরাচালানের জন্য দেশি খামারিরা ভাল দাম পাচ্ছে না।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এবছর জেলায় ২৯ হাজার গবাদি পশুর চাহিদা রয়েছে। যার বিপরীতে প্রস্তুত রয়েছে ৩০ হাজার পশু।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলছেন, ‘চলতি বছর হাটে দেশি জাতের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কোরবানির ১/২ মাস আগে থেকে আমরা টিকা প্রদান, ক্লোজ মনিটরিং করা, খাবারের মেনু ঠিক করা এইসব অব্যাহত রেখেছি। গত বছর ২৯ হাজার গবাদি পশু কোরবানি হয়েছে। এবার আমরা আশা করছি, ২৫-৩০ হাজার পশু কোরবানি হবে।’ 

ইএ