সিলেটে নামতে শুরু করেছে ঢালের পানি, বেড়েছে দুর্ভোগ

সিলেটে  এখনও পানিবন্দি ৬ হাজারের বেশি মানুষ
এখন জনপদে
0

নতুন করে আর বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সিলেট থেকে নামতে শুরু করেছে ঢলের পানি। তবে বেড়েছে দুর্ভোগ। মৌলভীবাজারে বেড়েছে জুড়ি নদীর পানি। এখনও পানিবন্দি ৬ হাজারের বেশি মানুষ। সেইসঙ্গে তীব্র আকার ধারণ করছে নদীভাঙন। উপজেলা সদরে লোকালয়ের পানি নেমে গেলেও এখনও প্লাবিত হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চল। দুর্ভোগে পড়েছেন ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এদিকে, রাঙামাটিতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন অনেকেই।

গত ২ দিন সিলেটে নতুন করে আর বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কমতে শুরু করেছে ঢলের পানি। আর এতেই ফুটে উঠতে শুরু করেছে বন্যার ক্ষতচিহ্ন। এবারের বন্যায় কেবল দুই উপজেলার লোকালয় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়নি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরাও। সিলেটের বালাগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে নদী তীরবর্তী বাজারে পানি ওঠায় ঈদ মৌসুমেও আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারছেন না তারা।

মৌলভীবাজারে মনু নদীর পানি কিছুটা কমলেও বেড়েছে জুড়ি নদীর পানি। এখনও পানিবন্দি ৬ হাজারের বেশি মানুষ। সেইসঙ্গে তীব্র আকার ধারণ করেছে নদীভাঙন।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন,  ‘পানি অনেক ক্ষতি করছে। ঈদ উপলক্ষে বেচাকেনা করবো কিন্তু পানির জন্য করতে পারছি না। তারা বলছেন, তিন লাখ টাকার মাল তুলেও বিক্রি করতে পারছি না। পানির মধ্যে বসে আছি।’ তারা বলেন,  ‘বাঁধ ভাঙায় আমরা আতঙ্কিত। আমাদের কয়েকটি বাড়িঘর ও আছে পানির নিচে।’

পানিবন্দি মানুষের সহায়তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে বিয়ানীবাজার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না বলেন, ‘আমাদের ১০টি ইউনিয়ন আছে। ২২ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত শিশু খাদ্য, গো খাদ্যের মজুত রয়েছে। সব জনপ্রতিনিধিকে বলে দেয়া হয়েছে যেকোনো মুহূর্তে যাদের যত ত্রাণের দরকার হয় তার সরবরাহ আছে।’

এদিকে, বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় রাঙামাটিতেও নামতে শুরু করেছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। এতে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন অনেকে। তবে, এখনও পানিতে তলিয়ে আছে বেশকিছু নিচু এলাকা। পানিবন্দি ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।

ইএ