জানা গেছে, সকালে মুসল্লিরা এসে কৃষ্ণপুর ফকিরপাড়ার মুসলিম জামে মসজিদের ছাদে যান। সেখানে আগে থেকেই ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছিল।
ছাদের মধ্যে কালো পর্দা টাঙিয়ে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। একই ইমামতিতে সামনে পুরুষ এবং পেছনের কাতারে নারীরা নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে নারীর বাড়ি ফিরে যান। আর পুরুষরা নামাজ শেষে পশু কোরবানি করেন।
নামাজের ইমামতি করেন মো. আনোয়ার। এসময় মুসলিম জামে মসজিদের ইমাম আবদুর রহিম গাজীসহ আট জন পুরুষ ও এক শিশুসহ দুইজন নারী নামাজে অংশ নেয়। মোট ১০ জন নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে একটা গরু ও একটা ছাগল কোরবানি করা হয়।
গেল ঈদুল ফিতরের নামাজে মুসল্লিদের উপস্থিত ছিল মোট ১৯ জন। পুরুষ মুসল্লি ছিলেন ১৬ জন এবং নারী ছিলেন ৩ জন।
মুসল্লি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এ মহল্লায় কমবেশি ৩০টি পরিবার বসবাস করে। তারমধ্যে পাঁচটি পরিবার ঈদের নামাজ পড়েছে। সবাই আসেনি। তারা হয়তো মানে না। বিশ্বাস করে না। আজ একটি গরু ও একটি ছাগল কোরবানি করা হলো। আমরা ভাগে কোরবানি করি না। যে গরু কোরবানি করা হচ্ছে তার মাংস সবাই মিলে খাব।’
মুসলিম জামে মসজিদের ইমাম রহিম গাজী বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের সময়ের ব্যবধান তিন ঘণ্টা। আর চন্দ্র মাস শুরু হয় একই দিনে। ঈদ পালন করা হচ্ছে। এটা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নয়। চাঁদ দেখে।