ঈদের লম্বা ছুটিতে প্রতিদিনই পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। নানা বয়সী মানুষের কোলাহলে মুখরিত হচ্ছে জেলার বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে। বাড়ছে পর্যটন কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য। জলের ওপর ভাসমান সারি সারি রাতা গাছ। প্রকৃতির এমন অকৃপণ দৃশ্যে ভরপুর এশিয়ার বৃহৎ মিঠাপানির জলারবন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রাতারগুল।
ঈদের ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুরা নৌকায় করে এমন বিরল দৃশ্যের দেখা পেতে প্রতিবছরই ছুটে আসেন এই জলারবনে। দেশ বিদেশে ঘুরেও রাতারগুলের মত এমন ব্যতিক্রমী সৌন্দর্যের দেখা সচরাচর কমই মেলে বলে দাবি দর্শনার্থীদের।
তারা বলেন, রাতারগুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ব্যতিক্রমী। এত পানি থাকার পরেও গাছগুলো সুন্দর করে বড় হচ্ছে ছায়া দিচ্ছে। আমরা এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাই। এজন্য বার বার এখানে আসি আমরা।
চারিদিকে ঘন জঙ্গল। রয়েছে নানা প্রজাতির বিরলপ্রাণি। মাঝিদের কণ্ঠে শোনা যায় মাটির গান। শত শত কিলোমিটার দূর থেকে ছুটে আসা দর্শনার্থী হয় বিমোহিত। এমন প্রতিবেশে ভ্রমণ হয়ে ওঠে বিনোদনে পূর্ণ। বাড়িয়ে তোলে অন্যরকম আনন্দ।
পর্যটন স্পটে প্রবেশের সড়ক, নৌকা ঘাটের ব্যবস্থাপনাসহ ভ্রমণ সুবিধা বাড়ানোর দাবি পর্যটকদের।
তারা জানান, রাস্তাটা একটু খারাপ। পর্যটন এলাকার রাস্তা আরো ভালো হওয়ার দরকার। রাস্তাটা মেরামত করা দরকার। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন দরকার।
তবে, পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ নৌকাঘাটের অব্যবস্থাপনা রোধে চেষ্টার কমতি নেই বলে জানালেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।