বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা সীমান্তবর্তী এই সড়কের রামদেবনগর জামে মসজিদ থেকে জিন্নাত দারগাবাড়ি পর্যন্ত অংশটিতে কাদাপানি ও খানাখন্দের কারণে চলাচল একপ্রকার অসম্ভব হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে বর্ষাকালে।
চতুল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মাঝেমধ্যে ইট ও সুড়কি দিয়ে গর্ত বুজানোর চেষ্টা করা হয়, তবে তা স্থায়ী সমাধান নয়। সড়কটি পূর্ণ সংস্কারে তিনি উপজেলা প্রকৌশলীকে বারবার তাগাদা দিচ্ছেন বলেও জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী পূর্ণেন্দু সাহা বলেন, ‘এ ধরনের অংশিক কাঁচা-পাকা অনেক সড়ক রয়েছে। ভবিষ্যতে নতুন প্রকল্প এলে এই সড়কটিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’
আড়পাড়া, বনচাকি, শুকদেবনগরসহ আশপাশের গ্রামের মানুষজন প্রতিদিন জীবিকা, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে এই সড়কে যাতায়াত করে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দা জব্বার মোল্লা বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই রাস্তা কাদা হয়ে যায়, তখন কেউ অসুস্থ হলে কাঁধে করে বাজার পর্যন্ত নিতে হয়।’
ভ্যানচালক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে চলতে নিজের কষ্ট হয়, আবার যাত্রীর গালি শুনতে হয়। কাদা হলে চাকা আটকে যায়, অনেক সময় ভ্যান উল্টেও যায়।’