‘অলিম্পিক ডে রান-২০২৫’ ঢাকায় অনুষ্ঠিত

অলিম্পিক ডে রান ২০২৫ এর র‍্যালি
এখন মাঠে
এখন জনপদে
0

জাতীয় পর্যায়ের ক্রীড়াবিদ, প্রশিক্ষক, সংগঠকসহ সামরিক, বেসামরিক বিভিন্ন সংস্থার প্রায় হাজার খানেক ক্রীড়াপ্রেমীর অংশগ্রহণে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘অলিম্পিক ডে রান-২০২৫।’ শিশু একাডেমি থেকে জিরো পয়েন্ট হয়ে জাতীয় স্টেডিয়ামে এসে শেষ হয় র‍্যালিটি। এসময় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘ভ্রাতৃত্ববোধ, সম্প্রীতি ও শৃঙ্খলার চর্চা করতেই এই অলিম্পিক ডে রানের আয়োজন।’

ভোর সাড়ে ৬টায় শুরু হয় অলিম্পিক ডে রানের শোভাযাত্রা। এটি বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে সচিবালয়, জিরো পয়েন্ট হয়ে জাতীয় স্টেডিয়ামে এসে শেষ হয়। ক্রীড়াবিদসহ জনসাধারণকে শরীরচর্চা ও ক্রীড়া বিষয়ক কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করতে এই ইভেন্টের এবারের প্রতিপাদ্য ‘লেটস মুভ।’ শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ক্রীড়াবিদরা । বাংলাদেশ অলিম্পিকে ভালো ফল করবে বলেও প্রত্যাশাও করেন তারা।

ক্রীড়াবিদরা জানান, আমরা বিশ্বাস করি আমরা একদিন অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করবো, গোল্ড জিতবো। সবসময় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ খুব কম থাকে। আমাদের এখানে অ্যাথলেট যারা অংশগ্রহণ করছে তাদের খুব ভালো সম্ভাবনা আছে অলিম্পিকে। আমরা আশা করি আমরা একদিন ব্যক্তিগতভাবে অলিম্পিক জিতবো।

তবে দেশের অ্যাথলেটদের অলিম্পিকে ভালো করতে ফেডারেশনগুলোর সহযোগিতার পাশাপাশি খেলার সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন অলিম্পিকে অংশ নেয়া এক সাঁতারু।

তিনি জানান, বাস্তবতা হলো আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এগুলো যদি আমরা পার করতে না পারি তাহলে আমাদের কোয়ালিফাই করা কষ্টসাধ্য হবে। সেক্ষেত্রে, মেডেল জেতা দুরূহ বিষয়। এই সীমাবদ্ধতাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে আমরা আশা করি এক সময় অলিম্পিকে আমরা পদার্পণ করবো।

র‍্যালি শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান বলেন, ‘ভ্রাতৃত্ববোধ, সম্প্রীতি, একতা ও শৃঙ্খলার চর্চা করতেই এই অলিম্পিক ডে রানের আয়োজন। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এই চর্চা আরও জরুরি।’

সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা যদি অলিম্পিক ডে রানের ধারণাটি ছড়িয়ে দিতে পারি সারা বাংলাদেশে তাহলে অবশ্যই আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ, সম্প্রীতি জাগরিত থাকবে। এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা আরও বেশি জরুরি।’

ঢাকায় মাঠের সংখ্যা কমে গেছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘ঢাকায় আগে অনেক মাঠ ছিলো। সেখান থেকে অনেক ক্রীড়াবিদ জন্ম নিয়েছে। এখন ঢাকায় মাঠের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। সেখানে অনেক বিল্ডিং উঠেছে এবং শারীরিক কসরত করার জায়গা প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের এই কার্যক্রম ফলপ্রসূ হবে।’

জাতীয় পর্যায়ের ক্রীড়াবিদ, প্রশিক্ষক, সংগঠকসহ সামরিক, বেসামরিক বিভিন্ন সংস্থার প্রায় হাজার খানেক ক্রীড়াপ্রেমী এতে অংশ নেন।

ইএ