বিশেষত উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া, ১২মাইল টিকটিকিপাড়া, মসলেমপুরসহ প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বসতভিটা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ পদ্মা নদী প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ। এছাড়া ভাঙনে প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থার দাবিতে মানববন্ধনও করেছেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয়রা জানান, রানাখড়িয়া থেকে মুসলিমপুর পর্যন্ত ফসলি জমি সব ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন যেই জায়গাটুকু আছে এটা শুধু ভিটে-মাটির অংশ। বসতভিটা বলতে কিছুই নেই। সবই ভেঙে গেছে। এখন আমাদের সবসময় আতঙ্কে থাকা লাগে। পনেরো দিন আগে থেকেই ভাঙছে নদীর পাড়, সরকারের কোনো কর্মকর্তা আসে নি। আমরা আবেদন করছি সরকার যেন কোনো পদক্ষেপ নেয়। সরকার কোনো পদক্ষেপ না নিলে আমাদের পথে বসা লাগবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা বলছেন, স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে নদীর ৯ কিলোমিটার অংশে ১ হাজার ৪শ ৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প চলমান রয়েছে। ভাঙনরোধে এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান বলেন, ‘রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অপর পাশে গ্রোয়েন নির্মাণ করার কারণে এই এলাকাগুলোয় এখন ভাঙন বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আমরা ইতিপূর্বে যে প্রকল্প চলমান সে প্রকল্পের আওতায় আইডাব্লিউএম কর্তৃক ফিজিবিলিটি স্টাডি চলমান রয়েছে। এই ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পূর্ণ হওয়ার পরে আমরা এই অংশটুকু প্রায় ৬.৭২ কিলোমিটার স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজ গ্রহণ করবো।’
তবে কোনো আশ্বাস নয়, বরং স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপের দাবি করেছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।