যদিও এসব স্থানে আলোকিত করতে বৈদ্যুতিক বাতির পরিবর্তে ২০২১ সালের পর ধাপে ধাপে স্থাপন করা হয়েছিল প্রায় ৩ শতাধিক সোলার স্ট্রিট লাইট। সূর্যের আলো নিভলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলে উঠত এসব লাইট। উদ্দেশ্য ছিল রাতের সড়ক, বাজারসহ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা। কিন্তু স্থাপনের কয়েক বছরের মধ্যেই দেখা দিয়েছে বিপরীত চিত্র। অধিকাংশ লাইট এখন অকেজো। কোনোটা নষ্ট হয়ে পড়ে আছে মাসের পর মাস, কোনোটা আবার চুরি হয়ে গেছে। কোথাও আবার খুঁটি নেই।
স্থানীয়রা জানান, বাচ্চারা প্রাইভেট পড়তে যেতে পারে না। চলাচলে সমস্যা হয়। লাখ লাখ টাকা খরচ করে এ লাইটগুলো দেয়া অথচ একটু বৃষ্টি হলেই আর এগুলো জ্বলে না। অল্প একটু জ্বলে আবার পরক্ষণেই নিভে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই নষ্ট হয়ে গেছে অধিকাংশ সোলার লাইট। নেই কর্তৃপক্ষের কোন তদারকি ।
তারা জানান, এখন ৪ থেকে ৫টা স্ট্রিট লাইট আছে যার মাঝে একটা জ্বলে বাকি সবগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। সন্ধ্যার পর আলো থাকে না এখানে। রাত যত গভীর হয়, স্ট্রিট লাইটের আলো তত কমতে থাকে।
উপজেলা প্রশাসন থেকে যেসব স্থানে লাইট নষ্ট বা চুরি হয়েছে, সেগুলোর তালিকা করা হচ্ছে। দ্রুত সংস্কার ও প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে জানালেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ বলেন, ‘বিগত ৪ বছর ধরে এখানে আমরা এখানে নতুন ইন্সটলেশনের জন্য মানুষের কোন ধরনের বড় উদ্যোগ পাই নি। আমার কাছে বিভিন্ন অভিযোগ আসছে আমরা সেগুলো দেখছি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। আমরা আশা করছি দ্রুতই এটা আমরা নিষ্পত্তি করতে পারবো।’