স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে সুমি আক্তারের বিয়ে হয় মো. ছালামের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। তাদের সাত বছর এবং দেড় বছরের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে ছালাম সুমিকে মারধর করে। আজ বিকালে স্থানীয় এক ব্যক্তি ও তার স্ত্রী খেতে ঘাস কাটতে গিয়ে আম বাগানে একটি গাছের সঙ্গে সুমির ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের মা আনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘১৪ বছর আগে মেয়ের জামাইকে ৮ লাখ টাকা ও ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র দিয়েছিলাম, যেন মেয়ে ভালো থাকে। কিন্তু জামাই মেয়েকে সবসময় মারধর করত। গতকাল রাতেও ঝগড়া করে মেরেছে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হরিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. শাহজাহান খান বলেন, ‘মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’