ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেল কৃষাণীর, আহত দুই

ঠাকুরগাঁও
বজ্রপাতে হতাহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস
এখন জনপদে
0

সারাদিনের খাটুনির পর আমন ধানের চারাগুলো আঁটি বেঁধে ঘরে ফেরার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু নিয়তির পরিহাসে ফেরা হলো না গীতা রানীর। আকাশ ভেঙে নামা বৃষ্টির সঙ্গে বিকট শব্দে হানা দেয় বজ্রপাত। ফসলের মাঠেই নিথর হয়ে পড়েন তিনি। এ মর্মান্তিক ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন, যাঁদের একজন ঠাকুরগাঁও ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

আজ (শনিবার, ১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৭ নম্বর চিলারং ইউনিয়নের ভেলাপুকুর গ্রামের নেংড়িহাট এলাকায় হৃদয়বিদারক এ ঘটনা ঘটে। নিহত গীতা রানী (৪০) ওই গ্রামের দিনমজুর অজেন বর্মণের স্ত্রী। আহতরা হলেন একই গ্রামের রুপালি রানী (৩৫), স্বামী মিঠু রায় এবং অপর এক নারী, যিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

ঘটনাস্থলের পাশেই কাজ করছিলেন গ্রামের কৃষক সুবল চন্দ্র রায়। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে বাজ পড়ল, মনে হলো যেন আকাশটা মাথার ওপর ভেঙে পড়েছে। ধোঁয়ার মতো দেখে আমরা দৌড়ে গিয়ে দেখি, তিনজনই মাটিতে পড়ে আছে। গীতা দিদির শরীরটা তখনই নিথর হয়ে গেছে। রুপালির শরীরও পুড়ে গিয়েছিল, সে কাতরাচ্ছিল। এমন দৃশ্য চোখে দেখা যায় না।’

স্থানীয়দের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার আলম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পাওয়া মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠিয়েছি। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। বজ্রপাতে মৃত্যু হওয়ায় এবং পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায়, তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা নথিভুক্ত করা হবে।’

এএইচ