সাত মাসের ব্যবধানে হারালেন স্বামী-সন্তান; ছামীমের মায়ের আহাজারিতে ভারী আকাশ

মাইলস্টোন ট্রাজেডি

মা জুলেখা বেগম ও আব্দুল্লাহ ছামীম
এখন জনপদে
3

ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ১৪ বছর বয়সী আব্দুল্লাহ ছামীমের নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি গ্রামে নেমে আসে গভীর শোক। সাত মাস আগে প্রবাসে মারা যাওয়া স্বামী আবুল কালাম মাঝির শোক এখনও কাটেনি। এর মাঝেই এলো পুত্র হারানোর খবর। বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতরাত সাড়ে ১০টায় ছামীমের মৃত্যু হয়। আজ (মঙ্গলবার, ২২ জুলাই) ভোর পাঁচটায় তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মাঝিকান্দিতে নেয়া হয়। সকাল ৯টায় জানাজা শেষে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

ছামীমের মা জুলেখা বেগমের চোখ থেকে থামছে না অশ্রু, মনের ক্ষত এখনও গভীর। সাত মাস আগে স্বামী হারিয়ে যখন একটু সামলে উঠার চেষ্টা করছিলেন, তখনই জীবন যেন এক আঘাতে দুই বড় দুঃখ তুলে দিলো।

ছামীম ছিলেন পড়াশুনায় মেধাবী, ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করা। সেই আলো আচমকা নিভে গেলো দুর্ঘটনায়। এখন গোটা পরিবার শোকাহত, হারানোর কষ্টে যেন হৃদয় থামার পথে।

স্থানীয়রা বলছেন, ছামীম ছিল ভালো ছাত্র, ভাল ছেলে। ওর স্বপ্ন ছিল বড় হওয়ার, কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না। তার মামাতো ভাই আব্দুল্লা হুসাইন জানান, আমাদের ছোটবেলা একসঙ্গে কাটতো, এখন সে নেই, ওর জন্য আমার চোখের জল থামছে না।

মামা সাইফুল ইসলাম বলছেন, ‘ওর মৃত্যুর খবর আমাদের পুরো পরিবারকে ভেঙে দিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই, যেন আর কোনো পরিবার এমন বেদনায় না পড়ে।’

ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

এনএইচ