আজ (সোমবার, ২৮ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি জহুরুল হকের উইং কমান্ডার আব্দুল্লাহ মো. ফারাবীর নেতৃত্বে শহীদ ছাত্র উক্যছাইং মারমার প্রতি আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রতিনিধি দলটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়ার খ্যংদং মারমা পাড়ায় অবস্থিত শ্মশানে গিয়ে তার সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এসময় উক্যছাইং মারমার মা তেজীপ্রু মারমা ও বাবা উসাই মং মারমা এবং পরিবারের সদস্য, স্বজন, প্রতিবেশী ও বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদোমং মারমাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উক্যছাইং মারমার বাবা উসাই মং মারমা বলেন, ‘আমরা পরজন্মে বিশ্বাসী। আমার ছেলে যাতে পরজন্মে ভালো মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব পায়। সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই আবেদন করি যাতে ভালো থাকে। আমার সোনার টুকরা ছিল। আমার কাছে রাজকীয়ভাবে ছিল। আমি বিশ্বাস করি এ সুখের চাইতে আরও বিপুল সুখ তার জীবনে বয়ে আনুক। এ কামনাই করি আমি।’
এসময় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার আব্দুল্লাহ মো. ফারাবী বলেন, ‘মাইলস্টোনে ঘটে যাওয়া এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা সত্যি হৃদয় বিদারক। আমরা এর জন্য গভীর শোক প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় শহিদ হওয়া ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। যারা আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছে তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।’
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা এসেছি মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় নিহত ছোট উক্যচিংয়ের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে। আমরা তার এমন মৃত্যুতে বিমান বাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। এ দুর্ঘটনায় বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি। বিমান বাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও জনগণের সেবায় কাজ করে যাবে।’ এ শোকাহত পরিবারগুলোর পাশে সবসময় বিমান বাহিনীর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
গত ২১ জুলাই মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ হয়ে উক্যছাইং মারমা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোট রাতে মারা যান। পরদিন ২২ জুলাই তার নিজ বাড়ি বাঙ্গালহালিয়ায় আনা হলে একদিন পর ২৩ জুলাই সমাহিত করা হয়।