আজ (মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই) ভোররাতে আহত জেলেদের কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৩ জেলে মো. রাজিব, হাচান ও রাহাতকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল দশটার দিকে বঙ্গোপসাগরের ৭৫ কিলোমিটার গভীর বঙ্গোপসাগরের শেষ বয়া পয়েন্টে ট্রলারটি ডুবে যায়।
উদ্ধারকৃত জেলেরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে আবদুর রশিদ মাঝি ১৫ জেলেসহ মহিপুর থেকে ওই ট্রলারটি নিয়ে গভীর সাগরে যায়। শুক্রবার সকালে জাল ফেলার পর হঠাৎ একটি ঝড় ও উত্তাল ঢেউয়ের তাণ্ডবে তাদের ট্রলারটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ডুবে যায়।
এসময় তাদের কাছ থেকে ১ জন হারিয়ে যায়। তারা ১৪ জন বাঁশ ও ফ্লুটের সাহায্যে ভাসতে শুরু করলে দুদফায় আরও ৫ জন হারিয়ে যায়। পরে তারা ভাসতে ভাসতে শেষ বয়া এলাকায় পৌঁছলে গতকাল রাতে দুটি ট্রলার ওই ১০ জেলেকে উদ্ধার করে।
মহিপুর থানার ওসি মাহমুদ হাসান বলেন, ‘এঘটনায় গত ২৬ জুলাই ট্রলার মালিক কিশোর হাওলাদার জেলে নিখোঁজ উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আমরা নিখোঁজ ৫ জেলের সন্ধানের চেষ্টা চালাচ্ছি।’