আকস্মিক ঢলে ডুবেছে রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। পানিবন্দি ১৫ গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবার। গতকাল মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেল থেকেই তিস্তায় পানি বাড়তে শুরু করে। একপর্যায়ে মধ্যরাতে বিপৎসীমা অতিক্রম করে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে।
পানির তোড়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী এলাকার কাঁচা সড়ক ভেঙে যায়। প্লাবিত হয় উপজেলার সানিয়াজান, সিন্দুরনাসহ আশপাশের পাশের বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল। নষ্ট হয় ফসলের বীজতলা। ভেসে যায় আমনের খেত।
এলাকাবাসী জানান, রাতে পানি কমলেও আবার হুট করে বেড়ে গেছে। এতে করে অনেকের ক্ষতি হয়ে গেছে, ফসল ডুবে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্যও বুক সমান পানি পার হয়ে যেতে হয় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
একইভাবে আদিতমারী উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করে। সড়ক ও স্কুলমাঠে জমে যায় হাটু পানি। এতে ব্যাহত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, পানি বাড়ার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করে। এতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় বন্ধ আছে শিক্ষা কার্যক্রম।
হঠাৎ ভারত থেকে আসা উজানের ঢলে এমন পানি বৃদ্ধি বলে জানাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। দুর্যোগ মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তা।
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘পানি বাড়ার সাথে সাথে আমরা মনিটরিং করেছি সারারাত। কোনো জায়গায় যদি মনে হয়েছে পানি ওভার ফ্লো হতে পারে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। পানি এখন দ্রুত নেমে যাচ্ছে, আরও নামবে। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।’
সকাল থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করায় রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বেশকিছু নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। একইভাবে নীলফামারীসহ আশপাশের এলাকা থেকেও পানি কমতে শুরু করেছে। নতুন করে বৃষ্টি ও ঢল না আসলে দ্রুতই পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে মনে করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।