জানা গেছে, রাত ২টার দিকে ২০-২৫ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত মিল এলাকায় ঢুকে ১০-১২ জন নিরাপত্তাকর্মীকে বেঁধে ফেলে। এরপর ওয়ার্কশপসহ তিনটি সেকশনে ঢুকে তামার কয়েল, রোলার বিয়ারিং ও পিতলের বিভিন্ন সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যায়। নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, ডাকাতরা ছিল অত্যন্ত সংগঠিত ও ভয়ঙ্কর।
মিল কর্তৃপক্ষ জানায়, নভেম্বর মাসে আখ মাড়াই মৌসুম শুরুর আগে মিল চালুর প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু এ ঘটনায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কার্যক্রম শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখলাছুর রহমান জানান, ভোর ৫টার দিকে সাইরেন ও মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতির খবর প্রচার করা হয়। এরপর নিরাপত্তাকর্মীদের উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, প্রায় ৯০ লাখ ৪০ হাজার টাকার যন্ত্রাংশ খোয়া গেছে।
আজ (রোববার, ৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় মিল এলাকা পরিদর্শন করেন নাটোরের পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পুলিশ সুপার জানান, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণসহ সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ এই কারখানায় ডাকাতির ঘটনাকে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির উদাহরণ বলে উল্লেখ করছেন এলাকাবাসী। ডাকাতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধারের দাবিতে মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেছেন।