বৃষ্টির তোড়ে ভাঙলো শীতল ঝর্ণা খালের ব্রিজের একাংশ

বেড়েছে যানজট-ভোগান্তি

চট্টগ্রাম
শীতল ঝর্ণা খালের ওপর ভেঙে যাওয়া ব্রিজের একাংশ
এখন জনপদে
0

বৃষ্টির পানির তোড়ে ভেঙে গেছে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ অক্সিজেন সড়কের শীতল ঝর্ণা খালের ওপর নির্মিত ব্রিজের একাংশ। এতে অন্যপাশ দিয়ে যান চলাচল করতে হচ্ছে, ফলে বেড়েছে যানজট-ভোগান্তি। জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অধীনে খাল সম্প্রসারণ করায় বেশ কিছুদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ছিল ব্রিজটি, অবশেষে বৃষ্টির পানির চাপে ভেঙে পড়েছে দাবি মেয়রের। দ্রুত সময়ে করপোরেশন নির্মাণ শুরু করবে বলেও জানানো হয়েছে।

ভোর সাড়ে পাঁচটা, পানির তোড়ে ভেঙে পড়ছে ব্রিজ। ৩০ মিনিটের ব্যবধানে ব্রিজের অর্ধেক অংশ পুরোটাই ধসে পড়ে। ঘটনাটি চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ-অক্সিজেন মূল সড়কের স্টার শিপ এলাকার। গেল মধ্যরাত থেকে টানা বৃষ্টিতে পানির চাপ বাড়ে নগরীর শীতল ঝর্ণা খালের ব্রিজে।

পানির তোড়ে মুহূর্তেই ভেঙে পড়ে ব্রিজটির একাংশ। ধসে পড়া অংশে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল, অন্য পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করলেও বেড়েছে যানজট ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ।

ব্রিজটি দিয়ে নগরীর ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেন হয়ে হাটহাজারী, রাউজান ফটিকছড়ি খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি রাঙ্গামাটির লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। এছাড়া এ এলাকায় পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

ঘটনা স্থলে এসে সিটি মেয়র জানান, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় শীতল ঝর্ণা খাল প্রশস্ত করা হয়। এর পর থেকে খালে পানিপ্রবাহ বেড়ে যায়। খাল প্রশস্ত হলেও ইটের তৈরি সেতু আগের মতোই ছিল। এতে পানিপ্রবাহের কারণে ধীরে ধীরে সেতুর দুই পাশ থেকে মাটি সরে গেলে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে।

নগরের বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের অক্সিজেন অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এ এলাকায় পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে সড়কটি দিয়ে। এ জন্য সেতুটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন লোকজন।

১৯৮০ সালে শীতল ঝর্ণা খালের ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করার পর নকশায় আর কোনো পরিবর্তন হয়নি। এরমধ্যে সড়ক এবং খালের সম্প্রসারণ হয়েছে বেশ কয়েকবার। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে এ ব্রিজ।

দ্রুত সময়ে এ ব্রিজটি নতুনভাবে তৈরির কাজ শুরু করবে সিটি করপোরেশন, নির্মাণ কাজ শেষ করতে এক বছর সময় লাগতে পারে জানান মেয়র।

এএইচ