টাঙ্গাইলের সখীপুরে ৬টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যে দুইটির নেই কোনো অস্তিত্ব। জরাজীর্ণ ৪টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৪ জন মেডিকেল অফিসার। তবে তিনজনই দায়িত্ব পালন করছে অন্য জায়গায়। ফলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রান্তিক জনপদে লক্ষাধিক মানুষ।
শুধু সখীপুরেই নয় এমন চিত্র পুরো জেলাজুড়ে। স্থানীয়রা বলছেন, যেসব এলাকায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে, দীর্ঘদিন সেগুলো কোনো সংস্কার হয়নি। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। চিকিৎসার জন্য অনেক দূরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র মেরামতের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবার মান বাড়ানোর দাবি ভুক্তভোগীদের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘এখানে যদি হাসপাতাল হয়, মানুষ ওষুধ পায়, তাহলে জনসাধারণের জন্য খুবই উপকার হবে।’
বাসিন্দাদের আরেকজন বলেন, ‘সরকারের কাছে অনুরোধ করবো, এ হাসপাতাল যেন অনেক বড় হয়। এতে আমরা ভালোভাবে সেবা পাবো।’
পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসাররা জানান, সাধারণত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ওষুধসহ সব সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন রোগীরা। তবে নানা সংকটে ব্যাহত হচ্ছে সে সুবিধা। এর সঙ্গে যদি আরেকটি ভালো উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকতো, তাহলে চাপ একটু কমতো। এখানে খুব অল্প পরিমাণে ওষুধ আসে। হেলথের সঙ্গে যোগ করলে, আরও বেশি ওষুধ দিয়ে রোগীর সেবা দেয়া সম্ভব হতো।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, সখীপুরে ৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে দুটিতে নেই কোনো স্থাপনা। তবে জনবলের সংকট থাকলেও স্থানীয়রা স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেন বলে দাবি এ কর্মকর্তার।
সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেহেনা পারভীন বলেন, ‘চারটি সাব-সেন্টারে আমাদের চারজন মেডিকেল অফিসার পোস্টেড ছিলেন। তার মধ্যে তিনজন ডেপুটেশনে বিভিন্ন হাসপাতালে আছেন। হাসপাতালের ইমারজেন্সি সময়ে সাব-সেন্টার থেকে একজনকে নিয়ে আসা হয়।’
স্থাপনা না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে সিভিল সার্জন বলেন, ‘শুধু উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেই নয়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও চিকিৎসক সংকট রয়েছে। পরবর্তী বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ঘাটতি পূরণ হবে।’
টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন ডা. ফরাজী মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম মঞ্জু বলেন, ‘আমরা ঘাটতির কথা জানিয়েছি। কিছু পোস্টেড করা হবে। পরবর্তী বিসিএস কর্মকর্তা নিয়োগ হলে এ ঘাটতি পূরণ হবে।’