সিলেটে পাথর লুট: ডিসি নিয়োগের পর কোম্পানিগঞ্জের ইউএনও বদলি

উপরে বাম থেকে মো. সারোয়ার আলম, শের মাহবুব মুরাদ, নীচে মো. শফিকুল ইসলাম ও আজিজুন্নাহার
এখন জনপদে
2

সিলেটের বিভিন্ন কোয়ারী ও পর্যটন এলাকায় প্রকাশ্যে পাথর লুটপাট ও অবৈধ বালু উত্তোলন ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ প্রেক্ষাপটে সিলেটের প্রশাসনিক নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের পর এবার কোম্পানিগঞ্জে নতুন ইউএনও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

আজ (সোমবার, ১৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো. সারোয়ার আলম। তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে উপ-সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

একই ঘটনায় বিকেলে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের জারি করা আরেক প্রজ্ঞাপনে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার আলোচিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহারকে বদলি করে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় সংযুক্ত করা হয়েছে। আর কোম্পানিগঞ্জে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।

বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহার সম্প্রতি সাদা পাথর, জাফলং, লোভাছড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় পাথর লুটপাট ও নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। গত এক সপ্তাহ ধরে এ বিষয়ে তীব্র সমালোচনা চলার পর অবশেষে সিলেটের প্রশাসনে রদবদলের ঘটনা ঘটল।

এএইচ