বঙ্গোপসাগরের কাছে যে কয়টি নদ-নদী প্রবাহমান, তার মধ্যে খরস্রোতা পটুয়াখালীর সোনাতলা, যার তীব্র স্রোতে ভাঙছে স্লুইসগেটসহ বেড়িবাঁধ। প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় ৭ গ্রামের মানুষের বসতবাড়ি ও কৃষিজমি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্লুইসগেট না হলে নীলগঞ্জ ইউনিয়ন এবং কয়েক হাজার একর জমি লবণাক্ত হয়ে, চাষের অনুপযোগী হয়ে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, কলাপাড়ার ১৬টি পোল্ডারে ৫২৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধে ১৯৮টি স্লুইসগেট রয়েছে। সোনাতলা নদীর ভাঙনে বিপন্ন গৈয়াতলা বেড়িবাঁধসহ স্লুইসগেট। এছাড়া, চম্পাপুরের করমজাতলাসহ একাধিক বাঁধও ঝুঁকিপূর্ণ।
আরও পড়ুন:
ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সক্ষমতা বাড়ানো, স্থানীয়দের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে জরুরি সংস্কার এবং আগাম পরিকল্পনার পরামর্শ পরিবেশকর্মীদের। ভাঙনরোধে নানা উদ্যোগের কথা জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কলাপাড়ার পরিবেশ কর্মী মেজবাহ উদ্দিন মাননু বলেন, ‘আমাদের আগাম পরিকল্পনা নিতে হবে কৃষক এবং তাদের সম্পদকে রক্ষার জন্য। এর জন্য বাৎসরিক একটা কর্মপরিকল্পনা থাকতে হবে, যেখানে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ জরুরি।’
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহ্ আলম বলেন, ‘নদী ভাঙনে স্লুইসটি প্রায় সম্পূর্ণ চলে গেছে। আমরা জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণ করে এটা বন্ধ করে দেবো। তাছাড়া নতুন স্লুইস করার জন্য আমরা আবেদন করেছি। বাজেট পেলেই আমরা কাজ শুরু করবো।’
বেড়িবাঁধসহ স্লুইসগেট নির্মাণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিকল্পিত সংস্কার দ্রুত নিশ্চিত করা হলে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবেন স্থানীয়রা।