
ভোলায় মেঘনার ভাঙন রোধে পাউবো কার্যালয় ঘেরাও ও সড়ক অবরোধ
মেঘনার ভয়াবহ ভাঙনে ভোলা শহর রক্ষা বাঁধের শিবপুর ও মেদুয়া ইউনিয়নসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা হুমকির মুখে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে ভাঙন থেকে বাড়িঘর ও ফসলি জমি রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগের দাবিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কার্যালয় ঘেরাও ও ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেছেন কয়েক হাজার এলাকাবাসী।

জলবায়ুর প্রভাবে নদীর তীব্র স্রোত, ঝুঁকিতে পটুয়াখালীর বাঁধ
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পটুয়াখালীর নদ-নদীতে স্রোত ও পানির উচ্চতা বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে। এতে ভাঙন তীব্র হচ্ছে স্লুইজগেটসহ বেড়িবাঁধের, যা নিয়ে আতঙ্কিত স্থানীয়রা। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভাঙন ঠেকাতে নানা তৎপরতার কথা বললেও, সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি পূর্ব পরিকল্পনা করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

চাঁদপুরে জলাবদ্ধতায় অনাবাদি ১৯ হাজার হেক্টর জমি, বছরে ক্ষতি ২৮৫ কোটি টাকা
জলাবদ্ধতার কারণে চাঁদপুরে অনাবাদি রয়েছে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর জমি। যত্রতত্র খাল ভরাট, অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ আর পানি নিষ্কাশনের অভাবে বছরের ছয়মাস জলাবদ্ধ থাকে এসব জমি। জলাবদ্ধতার কারণে তিন ফসলি জমি পরিণত হয়েছে এক ফসলিতে। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষক। জলাবদ্ধতার কারণে বছরে প্রায় ২৮৫ কোটি টাকার ফসল কম উৎপাদন হচ্ছে বলছে কৃষি বিভাগ। আর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি প্রবাহ; পানিবন্দি ১০ হাজার পরিবার
লাগাতার বৃষ্টি এবং উজানের দেশ ভারতের ঢলের পানির তোপে পানি বেড়েছে তিস্তা নদীতে। তিস্তা নদীর লালমনিরহাট অংশে আজ (বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট) সকাল ৬টা পর্যন্ত পানির প্রবাহ বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। আর সকাল ৯টা পর্যন্ত তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টেও পানির প্রবাহ বিপৎসীমার উপরে রয়েছে।

রাজশাহীতে পদ্মার পানি বিপৎসীমার নিচে, শহর ও চরাঞ্চলে সতর্কতা জারি
রাজশাহীতে বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পদ্মার পানি। ফলে শহরের টি-বাঁধে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করা হয়েছে এবং দোকানপাট সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। পদ্মার পানি বৃদ্ধির কারণে চরাঞ্চলের ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। অনেক পরিবার ঘর-বাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে, তাই তারা গরু-ছাগল নিয়ে শহররক্ষা বাঁধে অবস্থান নিচ্ছেন।

পটুয়াখালীতে ভাঙছে বেড়িবাঁধ, পানি বৃদ্ধিতে স্থানীয়রা হারাচ্ছেন ভিটেমাটি
বর্ষার শুরুতেই পটুয়াখালীর বিভিন্ন নদ-নদীতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে পানি। এতে ধারাবাহিকভাবে ভাঙছে বেড়িবাঁধসহ স্থানীয়দের ভিটেমাটি। জমির ফসল রক্ষা ও নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের দাবি ভুক্তভোগীদের। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, ভাঙন রোধে জরুরিভাবে কাজ করা হচ্ছে।

ফেনীতে টেকসই বাঁধ নির্মাণসহ ৮ দাবিতে পদযাত্রা, মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি
ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণে টেকসই বাঁধ নির্মাণসহ ৮ দফা দাবিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) অভিমুখে পদযাত্রা করেছে সাধারণ মানুষ। এসময় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে কোনো ধরনের আশ্বাস না মিললে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপালে অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

টানা বৃষ্টি-উজানের ঢলে ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, শতাধিক গ্রাম প্লাবিত
গত তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় উজানের ঢলে ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। মুহুরী, কহুয়া, সিলোনীয়া নদী তীরের ২২ স্থানে প্লাবিত হয়েছে শতাধিক গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে আছে দেড় লক্ষাধিক মানুষ।

উজানের ঢলে দেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি; টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা
ভারী বর্ষণে দেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। উজানের ঢলে ফেনীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কয়েকটি স্থানের ভাঙনে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ৩০টি গ্রাম। অন্যদিকে, নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে পার্বত্য তিন জেলায় দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কা।

ফেনীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ২৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত
ফেনীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। যা চলতি বছরে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।

ভাঙন ঠেকাতে নদীর বালু; উল্টো বিপদ ডেকে আনছে প্রকল্প
নদী ভাঙন ঠেকাতে নদীর তীরে জিও ব্যাগ ফেলার একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। কিন্তু ভাঙন ঠেকানোর জন্য তীরে ফেলা জিও ব্যাগগুলো ভর্তি করা হচ্ছে সেই নদীর বালু দিয়েই। এভাবে কি আদৌ নদীর ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব? এ যেন কইয়ের তেলে কই ভাজা। এমন ঘটনা ঘটছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ছোট ফেনী নদীতে। এতে নদী ভাঙন আরও বহুগুণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় স্থানীয়রা।

ভেড়ামারায় পদ্মার তীব্র ভাঙন; হুমকিতে বাঁধ ও হাজারো মানুষ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। গেল এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়াসহ আশপাশের প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকায় এ ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, হুমকির মুখে বিভিন্ন স্থাপনা ও নদী প্রতিরক্ষা বাঁধও। নির্ঘুম ও আতঙ্কে দিন কাটছে নদীপাড়ের দশ হাজার মানুষ।