কুমিল্লার শাসনগাছা-ব্রাহ্মণপাড়া সড়ক। শহরতলী, আদর্শ সদর, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার লাখো মানুষ প্রতিনিয়ত এ সড়ক ধরে যাতায়াত করেন। কিন্তু সড়কটির ভরাসার, বুড়িচং সদর, খাড়াতাইয়া, পূর্ণমতি, ব্রাহ্মণপাড়া ঈদগাহসহ ২৩ কিলোমিটার অংশ মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সড়কের কার্পেটিং ও ইট উঠে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ ও বিশাল গর্তের। প্রতিনিয়তই বাড়ছে দুর্ঘটনা। চলাচলে অনুপযোগী ২৩ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে ভোগান্তির শেষ নেই যাত্রী ও চালকদের। গর্ত ভরা সড়কটিতে অতিরিক্ত ভাড়ায়ও মেলে না পরিবহন। যেকোনো পণ্য পরিবহনেও গুণতে হচ্ছে বাড়তি খরচ।
একই অবস্থা জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার গ্রামীণ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের তিনশ কিলোমিটারসহ প্রায় ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার সড়কের। খানাখন্দ আর গর্তের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন:
স্থানীয়রা জানান, তিন উপজেলার মানুষ এ সড়ক দিয়ে চলাফেরা করে। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত যানবাহনগুলো চলাচল করছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা। নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে সড়কে নামছেন স্থানীয়রা।
কর্তৃপক্ষ বলছে, জেলায় সংস্কারযোগ্য সড়কের তুলনায় বরাদ্দ অপ্রতুল। এলজিইডি বলছে, তাদের ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ সড়ক মেরামতে প্রয়োজন এক হাজার কোটি টাকা। আর সড়ক বিভাগের দাবি, বছর ঘুরে বর্ষাকাল শেষ হলেও, আসেনি বরাদ্দ। তবে দুর্বিষহ সড়কে জনদুর্ভোগ কমাতে চলছে ইট, সুরকির অস্থায়ী মেরামত।
কুমিল্লা এলজিইডি সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. আশরাফ জামিল বলেন, ‘আমাদের যে চাহিদা আছে এরমধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশ সরকারি অর্থ বরাদ্দ পাই সড়ক মেরামতের জন্য। ফলে পুরো জেলার সড়কের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লা নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘পার্মানেন্ট ন্যাচারে কাজ না করা পর্যন্ত সুবিধা পাওয়া যাবে না। আমাদের দশটি প্যাকেজের কাজের মধ্যে পাঁচটি প্যাকেজের কাজ হয়েছে।’