ঝালকাঠিতে জরাজীর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন, ঝুঁকিতে তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা

জরাজীর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন
স্বাস্থ্য
এখন জনপদে
0

তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কমিউনিটি ক্লিনিক নিজেই জরাজীর্ণ। ঝালকাঠির ৯৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ৩০টিতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে সেবা কার্যক্রম। অনেক সময় খসে পড়ছে পলেস্তারা, দেবে গেছে ভবনের মেঝে। ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় ঝুঁকি আরও বাড়ছে। এছাড়া ২২ ধরনের ওষুধ সরবরাহের কথা থাকলেও সংকট থাকায় তাও মেলে না। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে পুনর্নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে ঝালকাঠিতে ৯৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়। তৃণমূল পর্যায়ের এসব স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রে দৈনিক গড়ে সেবা নেন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষ।

উপকূলীয় জেলাটিতে দীর্ঘদিনেও এসব কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবনগুলোয় কোনও সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি। এতে অনেক ভবনের ছাঁদ ও দেয়াল থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। ভারি বর্ষণ ও জোয়ার-জলোচ্ছ্বাসের সময় ডুবে থাকে ভবনের মেঝে।

এতে কোথাও দেবে গেছে, কোথাও ভেঙেছে। সাথে দরজা-জানালার অবস্থাও বেহাল। জেলার বেশিরভাগ কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনে এমন নাজুক পরিস্থিতি। এরইমধ্যে ৯৭টি ভবনের ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ২৬টিকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ।

সেবাগ্রহীতাদের একজন বলেন, ‘ক্লিনিকের অবস্থা তো ভালো না। ছাদ দিয়ে পানি পড়ে।’

এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে দৈনন্দিন সেবা কার্যক্রম। এতে ছোটখাট দুর্ঘটনাসহ মাঝেমধ্যেই বিপদে পড়তে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। যা প্রভাব ফেলছে সেবার মানে। সেবাদাতারা বলছেন, ভালো সেবা নিশ্চিতে প্রয়োজন সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশ।

আরও পড়ুন:

স্বাস্থ্যকর্মীদের একজন বলেন, ‘ক্লিনিক হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এখানে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।’

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, লবণাক্ততার কারণে এমন বেহাল ভবনগুলো। তবে, এরইমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য জরাজীর্ণ ভবনগুলো পুনঃনির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

ঝালকাঠির সহকারী প্রকৌশলী শৈলেন্দ্র নাথ মন্ডল বলেন, ‘আমরা ৩০টি ক্লিনিকের জন্য বাজেট পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়ে। এগুলোর অনুমোদন পেলে এইসব ক্লিনিক সংস্কার করা সম্ভব হবে।’

ঝালকাঠি স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বাড়লে ক্লিনিকগুলোতে পানি উঠে যায়। আমরা জানিয়েছে বিভাগকে। তারা সংস্কারের জন্য আশ্বাস দিয়েছে।’

অবকাঠামোগত সমস্যার পাশাপাশি ঝালকাঠির কমিউনিটি সেবা কার্যক্রমে আছে ওষুধের সংকট। ২২ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহের কথা থাকলেও বেশিরভাগ সময় তাও মেলেনা।

সেজু