অভিযান পরিচালনা করেন কিশোরগঞ্জ বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট। সংক্ষিপ্ত বিচারিক প্রক্রিয়ার (সামারি ট্রায়াল) মাধ্যমে এসব রায় ঘোষণা করা হয়।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনিবন্ধিত অবস্থায় ভেজাল শিশু খাদ্য উৎপাদন ও বিক্রয়ের দায়ে সাদিয়া ফুড প্রোডাক্টসকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি জব্দকৃত ভেজাল শিশু খাদ্য জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়।
এছাড়াও কটিয়াদী সরকারি কলেজের সামনে অবস্থিত মাহি ফুড প্রোডাক্টসকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও অননুমোদিত রঙ ব্যবহারসহ বিভিন্ন অপরাধে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন:
একই উপজেলায় কটিয়াদী বাজারের সুমন বেকারি নিবন্ধন ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন করায় আরও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভৈরব উপজেলার ফাড়ি রঘুনাথপুর ও আলুকান্দা এলাকায় মো. লিটন মিয়াকে অনিবন্ধিত অবস্থায় ভেজাল শিশু খাদ্য উৎপাদনের দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় ভেজাল খাদ্য জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
অন্যদিকে দুর্জয় মোড়ে অবস্থিত আল আজিজিয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে কাঁচা ও রান্না করা খাবার একত্রে সংরক্ষণ এবং নিরাপদ খাদ্য আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান চলাকালে সহযোগিতা করেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শংকর চন্দ্র পাল, কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ, র্যাব ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
কিশোরগঞ্জ বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলাম জানান, ‘মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেজাল ও অনিরাপদ খাদ্যের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’