প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, পুলিশ কর্মকর্তার নাম আরিফুজ্জামান। তিনি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মচারী। আটককালে তার কাছ থেকে কিছু নথিপত্রও উদ্ধার করা হয়।
আজ (রোববার, ২৪ আগস্ট) তাকে বসিরহাট মহাকুমা আদালতে তোলা হবে।
পশ্চিমবঙ্গ বিএসএফ সূত্র জানায়, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙ্গা ভাদিয়ালী সীমান্তের বিপরীতে হাকিমপুর গ্রাম। আরিফুজ্জামান বৃষ্টির মধ্যে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে কাঁটাতারবিহীন সোনাই নদী পার হয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেন। সীমান্ত চৌকিতে ঘোরাঘুরির সময় তাকে বিএসএফ আটক করে পরে স্বরূপনগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন:
সূত্র আরও জানায়, তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া পরিচয়পত্রে তিনি বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত হিসেবে উল্লেখিত। তবে এখনও নিশ্চিত নয়, তিনি কেন ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমে খবরটি ফলাও করে প্রচার হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা ভারতে পালানোর পর আরিফুজ্জামানও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেন। ঘটনার তথ্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও জানানো হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনের সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদান হয়েছে।
সাতক্ষীরা-৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক জানান, সীমান্ত এলাকায় টহল কার্যক্রম আগেই বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি পোস্টে বিজিবি সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে থাকে। এখানে সহজে সীমান্ত অতিক্রম করা সম্ভব নয়। বিএসএফের পক্ষ থেকেও তারা কোনও আগাম তথ্য জানায়নি। তবে তারা খোঁজখবর নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।