ফলকে নাম দেখে পরিবহন উপদেষ্টা বললেন ‘এটি কি আমার বাপের টাকায় করা’

ফলকে নাম দেখে ক্ষুব্ধ পরিবহন উপদেষ্টা
এখন জনপদে
0

যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ। সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে গাজীপুরের ভোগড়া থেকে নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচল পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার সড়ক উদ্বোধন করা হয়। তবে এসময় ফলকে নিজের নাম দেখে চটে যান সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, ‘এটি কি আমার বাপের টাকায় করা? তাহলে ফলকে কেন আমার নাম থাকবে?’

তিনি দ্রুত ফলক পরিবর্তন করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দেন। ফাওজুল কবির বলেন, ‘দুর্নীতি ও অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা গেলে সড়ক নির্মাণে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ খরচ কমানো সম্ভব। ঢাকার যানজট কমানো ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করতে এই এক্সপ্রেসওয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে, প্রকল্পের পূর্ণ সুফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও অন্তত দেড় বছর।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বড় শহরগুলোর যানজট কমাতে বাইপাস সড়কের বিকল্প নেই। মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান হাতে নেয়া হয়েছে। যেখানে সড়ক, রেল ও নৌ যোগাযোগকে একত্রে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সড়ক নির্মাণে দুর্নীতি ও অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ খরচ কমানো সম্ভব।’

সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘রাস্তার নির্মাণ ব্যয় অনেক বেশি। এটা কমাতে হবে। আমাদের আশেপাশের ডে দেশ তাদের তুলনায় আমাদের দেশে রাস্তা নির্মাণের ব্যয় অনেক বেশি। দুর্নীতি কমলে এবং প্রকৌশলীরা কাজ করলে ব্যয় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমানো সম্ভব।’

ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়েতে ৯ ক্যাটাগরির যানবাহন চলাচল করবে। বাধাহীন এ যাত্রায় বড় পণ্যবাহী ট্রাকের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০০ টাকা এবং প্রাইভেট কারের জন্য ১৫০ টাকা। তবে পুরো প্রকল্পের সুবিধা পেতে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।

এদিকে, এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেয়ায় যানজটের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে বলে জানিয়েছে যানবাহনের চালকরা।

গাজীপুরের ভোগড়া থেকে মদনপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার ফোর লেন এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ শুরু হয় ২০২১ সালে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে এই প্রকল্প। এতে থাকছে ৪০টি আন্ডারপাস, ৩টি ব্রিজ, একটি ইন্টারসেকশন এবং একটি ফ্লাইওভার। এক্সপ্রেসওয়েটি পুরোপুরি চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যবাহী যান ঢাকায় প্রবেশ না করেই দ্রুত উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে যেতে পারবে। এতে কমবে যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এক্সপ্রেসওয়ে হলেও এতে ব্যবহার হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। ধাপে ধাপে যুক্ত করা হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও ক্লাউড কম্পিউটিং সিস্টেম। যা দেশের যোগাযোগ খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

এএইচ