বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করেই জীবিকা নির্বাহ করেন হাজারো জেলে। ঘনঘন দুর্যোগ, ট্রলারডুবি ছাড়াও নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও অবকাঠামো সংকট নিয়েই চলছে তাদের টিকে থাকার সংগ্রাম।
এদিকে মৎস্য শিল্পে শতকোটি টাকা বিনিয়োগ করেও পাওয়া যাচ্ছে না লভ্যাংশ। জীবন বাজি রেখে সাগর পাড়ি দিয়েও প্রাপ্তি আশানুরূপ নয় জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীদের।
মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান,জেলেরা মাছ না পেলে সেই প্রভাবটা আমাদের ওপর পড়ে। ব্যবসায়ীরা বাকি দিতে দিতে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন। সরকারের উচিত জেলেদের প্রণোদনা দেয়া বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন:
তবে প্রতিবছর ইলিশ রপ্তানি করে আয় হচ্ছে শত কোটি টাকা। কিন্তু মধ্যস্বত্বভোগী ও চড়াসুদে ঋণের ফাঁদে পড়ে জেলেদের অবস্থা শোচনীয়। জেলে ও ব্যবসায়ীদের রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য শিল্প সংশ্লিষ্টরা।
কলাপাড়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ইনস্পেক্টর রাজিব কুমার দাস বলেন, ‘এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কার্যক্রম চলমান আছে। আমাদের জায়গার সংকট আছে, এজন্য পাশের প্লটটি আমরা নেয়ার চেষ্টা করছি।’
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ইলিশ রপ্তানি করে তিনশো কোটি টাকা এসেছে। সম্ভাবনাময় এ শিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করছে।’
বিশ্বের ৮৬ শতাংশ ইলিশই উৎপাদন হয় বাংলাদেশে। তাই জেলে ও ট্রলার মালিকদের প্রণোদনা, সহজ শর্তে ঋণ এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম জোরদার করলে টিকে থাকবে সম্ভাবনাময় এ শিল্প।