এ সময় অংশগ্রহণকারীরা হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্স সংকট, শয্যা ও সরঞ্জামের অভাবে রোগীদের চরম ভোগান্তি দূর করার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। কর্মসূচিতে হাতিয়া স্টুডেন্ট ফোরাম, ছাত্রকল্যাণ পরিষদ, হাতিয়া সমিতি-নোয়াখালী, হাতিয়া ফোরাম-বৃহত্তর নোয়াখালীসহ বিভিন্ন সংগঠন একাত্মতা প্রকাশ করে।
এ সময় বক্তব্যে শাহ মিজানুল হক মামুন বলেন, ‘হাতিয়া একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এ দ্বীপের সাত লাখের বেশি বাসিন্দা যুগ যুগ ধরে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। দেশের সবকিছুর পরিবর্তন হলেও হাতিয়া দ্বীপবাসীর ভাগ্যের কোনো পরিবর্ত হয়নি। এখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত চিকিৎসক-নার্স নেই। মালি, ঝাড়ুদাররা ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা দেয়। কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে কখনোই কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
আরও পড়ুন:
অ্যাডভোকেট নোমান সিদ্দিক নামে একজন বলেন, ‘আমাদের দ্বীপের মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই। সাত লাখ মানুষের এ দ্বীপে জরুরি অস্ত্রোপচার কিংবা জটিল কোনো রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। অনেক সময় গর্ভবতী মায়েরা তাদের ডেলিভারির সময় নোয়াখালী যাওয়ার পথে মারা যান। এখানে মাসের অধিকাংশ দিন কোনো চিকিৎসক থাকেন না। চিকিৎসক যারা কর্মরত আছেন তারাও মাসের অধিকাংশ দিন হাসপাতালে থাকেননা। আমরা এর প্রতিকার চাই।’
জানতে চাইলে নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মরিয়ম সিমি বলেন, ‘হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও স্টাফ সংকটের বিষয়ে একাধিকবার চিঠি দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আজ যারা অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছে তাদের সঙ্গে আমাদের কর্মকর্তাদের কথা হয়েছে। আমরা তাদের দাবিগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানোর ব্যবস্থা করছি।’