প্রত্যক্ষদর্শী বিজয় হালদার বলেন, ‘নদীতে এক জেলের জালে মাছটি ধরা পড়ে। এ ধরনের বড় মাছ পেয়ে জেলে খুবই খুশি হয়। পরে নদীপাড়েই একজন ক্রেতা মাছটির দাম পছন্দ করে কিনে নেন।’
আরও পড়ুন:
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে পদ্মায় ইলিশ, চিতল, বাঘাইর, বোয়াল, কাতল, রুই, পাঙাশসহ বিভিন্ন মাছ ধরা পড়ছে। তবে বাঘাইর মাছকে বন অধিদপ্তর বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় রেখেছে। তাই এ মাছ ধরা, বিক্রি ও ভক্ষণ থেকে সবাইকে বিরত থাকা উচিত।’
বাংলাদেশে বাঘাইরসহ বিপন্ন প্রজাতির মাছ ধরা, বিক্রি ও মজুত ‘বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২’ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। এ আইনের তফসিল-২ এ মাছটিকে সংরক্ষিত করা হয়েছে। এ আইন অনুযায়ী বাঘাইর মাছ ধরা, মারা, ক্রয়-বিক্রয় কিংবা আমদানি-রপ্তানি দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা দুই লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান আছে।