পূর্ব পুরুষ থেকেই প্রতিবছর ভাদ্র মাসের পূর্ণিমাতে একাদশীতে এ কারাম উৎসব পালন করে আসছেন তারা। এ উৎসব উপলক্ষে সাঁওতাল তরুণ-তরুণীরা দিনব্যাপী উপোস থাকেন, পরে সন্ধ্যায় পূজা অর্চনা শেষ করে অন্ন গ্রহণ করেন। এরপর শুরু হয় তাদের উৎসব।
নেচে-গেয়ে আর কেজ্জায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা কারাম উৎসবের মাধ্যমে বিপদ থেকে মুক্তি, অতিবন্যা ও খরা থেকে বাঁচতে দেশ ও মানুষের মঙ্গল কামনা করেন। উৎসবটি দেখার জন্য ওঁরাও সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষও সমবেত হন আদিবাসী পল্লিতে।
আরও পড়ুন:
হাকিমপুর উপজেলা আদিবাসী সাবেক চেয়ারম্যান বাদল টপ্প বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব কারাম পূজা বা ডালপূজা। প্রতি বছরে একবার ভাদ্র মাসের পূর্ণিমার একাদশীতে এ কারাম পূজা করা হয়ে থাকে। আমাদের পূর্ব পুরুষদের সময় থেকে এ পূজা করে আসছি আমরা। পরিবারের ছোট বড় সকলেই এ উৎসবে যোগ দেয়।’
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেছি সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ একসঙ্গে মিলে মিশে যেন ভালোভাবে থাকতে পারি। আমরা যেন সুন্দর জীবন যাপন করতে পারি।’