ফেনীর দাগনভূঞাঁ উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের করিম উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চার শতাধিক। স্কুলটির সপ্তম শ্রেণির একটি কক্ষ এরইমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন। ঝুঁকিতে পুরো চারতলা ভবন আর স্কুলের শহিদ মিনার। খেলার মাঠের একটি নদীতে বিলীন। ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীরা জানান, নদী ভাঙনের কারণে স্কুলের একটি অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এর পাশাপাশি শহিদ মিনারটাও বিলীন হওয়ার পথে রয়েছে।
দাগনভূঞাঁ করিম উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম বাছির ভূঁইয়া বলেন, ‘বিদ্যালয়ে একটিমাত্র খেলার মাঠ রয়েছে যা পুরো এলাকার খেলার মাঠ হিসেবে পরিচিত। প্রাইমারি বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের খেলার অনুষ্ঠানগুলো এ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। আর মাঠের উত্তর পশ্চিম অংশ প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। যা শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা এবং মানসিক বিকাশে বাধা দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন:
ছোট ফেনী নদী, কাঁটাখানি নদীর এমন ভাঙন পরিস্থিতিতে দিশেহারা তীরবর্তী মানুষ। চোখের সামনে রাস্তাঘাট, ভিটেমাটি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শত শত পরিবার। উত্তর আলীপুর গ্রামে ছোট ফেনী নদীর রাস্তা নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় চলাচল দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এছাড়া মোমারিজপুর গ্রামের বেকের বাজার থেকে বটতলা বাজার সড়কের চার কিলোমিটার অংশেও ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ঝুঁকিতে পড়েছে মিয়াজীর ঘাট ব্রিজ, স্কুল, মসজিদসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও।
এলাকাবাসী জানান, সুইচ গেট যদি দ্রুত স্থাপন করা হয় তাহলে মানুষ বেশি উপকৃত হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন তারা। আর ভাঙনরোধে প্রকল্প পরিকল্পনায় আছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখতার হোসেন বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এখানে প্রায় ৬ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাঁধ হবে। এটার জন্য এরইমধ্যে প্রাক্কলন করা হয়েছে, খুব দ্রুতই দরপত্র আহ্বান করে কাজ শুরু করা হবে। এ কাজ শুরু হওয়ার মধ্যেও যেন কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য আমরা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
ভাঙন রোধে আশ্বাস নয়, এলাকাবাসী চান দ্রুত এর স্থায়ী সমাধান।