কাগজে কলমে আড়াইশো শয্যা থাকলেও জনবল ও সুযোগ-সুবিধা আছে মাত্র একশো শয্যার। নতুন আটতলা ভবন দু’বার উদ্বোধন হলেও এখনো পর্যন্ত চালু করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একই অবস্থা চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সার্ভিস ভবনেরও।
এদিকে, হাসপাতালের ১০ শয্যাবিশিষ্ট হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটের যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে আছে ছয় মাস ধরে। রোগীরা পাচ্ছেন না পর্যাপ্ত চিকিৎসা। তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে সচল আছে মাত্র একটি। অপর্যাপ্ত চিকিৎসক, যন্ত্রপাতির অভাব আর দালাল চক্রের কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা।
রোগী ও রোগীর স্বজনেরা জানান, দেড় থেকে দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ডাক্তারের দেখা পাচ্ছে না রোগীরা। ওষুধ এবং খাবারও সঠিক সময়ে পাচ্ছে না তারা।
আরও পড়ুন:
আড়াইশো শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিন ভর্তি থাকে পাঁচশো থেকে ছয়শো রোগী। বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগ মিলিয়ে প্রতিদিন হাজারেরও বেশি মানুষ চিকিৎসা নেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বে থাকা ১৬ জন কর্মীর জায়গায় কাজ করছেন মাত্র চারজন। এ কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই সেবা নিতে হচ্ছে রোগীদের।
নার্সরা জানান, শয্যা সংখ্যার তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে নার্স ও কর্মচারীদের। ডাক্তার ও জনবল সংকট থাকলেও তারা চেষ্টা করছে রোগীদের সেবা প্রদানের।
হাসপাতালে ওষুধ, খাবার ও নার্স পর্যাপ্ত থাকলেও চিকিৎসক ও অন্যান্য জনবলে রয়েছে সংকট। ৪২ জন চিকিৎসকের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ২১ জন। মেডিসিন, শিশু, গাইনি, কার্ডিওলজিস্ট, চক্ষু, অ্যানেসথেসিয়া, সার্জারি ও প্যাথলজি বিভাগে বিশেষজ্ঞ পদও রয়েছে শূন্য।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার এম এম জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কেউ কেউ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন। তবে মাত্র চারজন সুইপার দিয়ে এতো বড় হাসপাতাল মেইনটেইন সম্ভব নয়। পাশাপাশি যেখানে দুইশো রোগীর থাকার কথা সেখানে পাঁচশো থেকে ছয়শো রোগী থাকে।’