স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটা থেকে ঢাকাগামী সাকুরা পরিবহনের একটি বাস মানিকঝুড়ি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রী নামানোর জন্য থামানো একটি সিএনজিকে চাপা দেয়। এতে সিএনজির ৭ যাত্রী আহত হন। এরপর দ্রুতগতির ওই বাসটি সামনে থাকা বিয়ের কনে পক্ষের আরেকটি সিএনজিকে ধাক্কা দেয়। এতে আরও ৮ জন সহ ১৫ যাত্রী আহত হন।
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ইউসুফ খাঁন (৬৫), কালাম হাওলাদার (৪০), মোশাররফ (৪৫), আবু সালেহ খাঁন (৪০), আফজাল খাঁন (৩৫), রহিম খাঁন (২৫), শামীম হাওলাদার (৩৫), মোসা. জেসমিন আক্তার (৪৫), ফেরদৌস (১৮), এমি (২০) ও আজিজ খাঁনকে হাসপাতালে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত শামীম হাওলাদার বলেন, ‘সাকুরা পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে একটি সিএনজিকে ধাক্কা দেয়, পরে আমাদের সিএনজির ওপর উঠে যায়। এতে আমরা সবাই আহত হই।’
আহতদের স্বজন রাসেল মোল্লা জানান, আমতলী ফেরিঘাট জামে মসজিদের বিয়েতে যোগ দিতে কনে পক্ষের ১০ জন যাত্রী সিএনজিতে যাচ্ছিলেন। বাসটি ধাক্কা দিলে ৮ জন আহত হন, এর মধ্যে পাঁচজনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, ‘গুরুতর আহত পাঁচজনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখা হয়েছে।’
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।