পার্বত্য জেলা বান্দরবানে যেদিকে চোখ যায় শুধু পাহাড় আর পাহাড়। সবুজে সমারোহে এসব পাহাড়ের অন্তরালে দেখা মেলে অসংখ্য ঝর্ণার। সদর উপজেলা ছাড়াও রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকায় বিভিন্ন ঝর্ণার রূপ দেখতে ছুটে আসেন প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকরা। উপভোগ করেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য।
পর্যটকরা জানান, তারা এমন সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ। বাংলাদেশে এমন জায়গায় ঘুরতে এসে তারা অনেক আনন্দিত।
দুর্গম পাহাড়ি পথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটে ঝর্ণায় পৌঁছানো আর সেখান থেকে ফিরে আসা বেশ কষ্টকর ও অনিরাপদ। এছাড়া অসতর্কতায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন অনেক পর্যটক। এমনকি ঘটে প্রাণহানির ঘটনাও।
পর্যটকরা আরও জানান, অনেক দুর্গম জায়গা আছে। এগুলো জায়গা অনেক বিপজ্জনক। এখানে পর্যাপ্ত সিকিউরিটি গার্ডের অভাব রয়েছে বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন:
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, পার্বত্য এলাকায় ভ্রমণে প্রয়োজন বাড়তি সর্তকতা। পাশাপাশি ভ্রমণ নিষিদ্ধ এলাকার গহীনে যাওয়াও অনুচিত।
বান্দরবান হোটেল রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আমাদের পরামর্শ নিয়ে এবং আমাদের নিবন্ধিত গার্ড নিয়ে ভ্রমণ করতে হবে।’
বান্দরবান রিজিয়ন ট্যুরিস্ট পুলিশ মোহাম্মাদ হাসান ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘কারও সঙ্গে যোগাযোগ না করে অনেকে দুর্গম স্পটগুলোতে চলে যাচ্ছেন। ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে আমরা অনেক পরে জানতে পারছি। এছাড়াও আবহাওয়া পূর্বাভাস দেখে তাদের ভ্রমণের পরামর্শ দিয়ে থাকি আমরা।’
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, ‘অঘোষিত পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে তারা যেতে বেশি আগ্রহী থাকে। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়েই তারা এ স্থানগুলোতে যায়। আমরা এ বিষয়ে বিশেষ টহলের ব্যবস্থা করেছি।’
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ২০১৭ থেকে গত ৯ বছরে ঝর্ণায় ও পাহাড়ি ঢলে ভেসে মৃত্যু হয়েছে ২৭ পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দার।