বগুড়ার শাজাহানপুরের শাহনগর, বড়পাথার, কামারপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম পরিচিতি পেয়েছে চারা গ্রাম নামে। এসব গ্রামের প্রায় ৯০ হেক্টর ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে দুই শতাধিক নার্সারি। যেখানে উৎপাদিত মরিচ, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন সবজির চারা সরবরাহ হচ্ছে দেশের প্রায় ৪০টি জেলায়।
কৃষকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমাদের চারা বাংলাদেশের প্রায় ৬৪ জেলাতেই যায়। দামে কম, চারা ভালো সেজন্য চাহিদা বেশি।’
আষাঢ় মাস থেকে চারা বিক্রির মৌসুম শুরু হলেও অতি বৃষ্টিতে জমেনি বেচাকেনা। নার্সারি মালিকদের আশা, ভারী বৃষ্টিপাত কমলেই চারা কেনাবেচা জমে উঠবে।
নার্সারি মালিকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আরও আগে চারা লাগাইতাম কিন্তু বৃষ্টির কারণে লাগাইতে পারিনি। সেজন্য এবার চারা বিক্রি খুব একটা নাই। এই বৃষ্টি ভালো হয়ে গেলে আবার আশা করি ভালো বিক্রি হবে।’
ভালো মানের চারা তৈরি করায় এসব নার্সারির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। সেই খ্যাতি ধরে রাখতে ও ভালো মানের চারা উৎপাদন করতে সংগঠন গড়ে তুলেছেন নার্সারি মালিকরা। ভালো চারা উৎপাদনে সমিতির মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বীজ সরবরাহ করা হয় নার্সারিগুলোতে।
আরও পড়ুন:
বগুড়া শাহনগর সবজি নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘সংগঠনের মাধ্যমেই আমাদের চারাগুলো উৎপাদন করা হয়। আমাদের দায়িত্বটা হচ্ছে, একটা ভালো বীজের গুণগত মান যাচাই করে প্রতিটি নার্সারিতে সরবরাহ করা। যেটার মান অত্যন্ত ভালো। রোগমুক্ত, সুস্থসবল চারা কৃষকের হাতে তুলে দেয়াই আমাদের দায়িত্ব।’
এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা জানান, নার্সারিগুলোতে ভালো বীজ নিশ্চিত করা, চারা বিপণন, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
শাহজাহানপুরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনা খাতুন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত এগুলো মনিটরিং করছি। মনিটরিং করে আমরা টেকনিক্যাল সহযোগিতাগুলো দিচ্ছি। রোগবালাই, পুষ্টি বিষয়ক পরামর্শ আমরা তাদের দিচ্ছি।’
কৃষি বিভাগের প্রত্যাশা, চলতি মৌসুমে চারা বিক্রি করে নার্সারি মালিকদের অন্তত ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা আয় হবে।