আধিপত্য বিস্তার থেকে শুরু করে টাকা আত্মসাৎ এমন নানান অভিযোগে টালমাটাল ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ। সম্প্রতি বড় অঙ্কের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে আসে গণমাধ্যমে।
রোববার দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির বনানী কর্পোরেট অফিসে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশনের তিন সদস্যের একটি দল। দুদক জানায়, গত দুই মাসের বিল ভাউচারের মাধ্যমে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছেন তারা।
সহকারী পরিচালক মো. ইকরাম হোসেন বলেন, ‘ভুয়া বিল বাবদ ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এসেছে সেটা এখনো অনেক কাগজপত্র অনুসন্ধান করতে হবে। আমরা সেভাবেই চাহিদা দিয়েছি। সেগুলো সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাইয়ের পরে মন্তব্য করা যাবে।’
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি–বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আতিক মোর্শেদের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুইয়ের নিয়োগের বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে অভিযানে আসে দুদক। প্রাথমিকভাবে নিয়োগে অনিয়মের সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়েছে দুদক।
মো ইকরাম হোসেন বলেন, 'আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আতিক মোর্শেদের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুইয়ের নিয়োগের বিষয়ে অভিযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে নিয়োগে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছি।'
তবে ১৫০ কোটি টাকা অনিয়মের তথ্য যাচাই বাছাই চলছে বলে জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন।
অভিযান শেষে দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নগদে নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য আতিক মোর্শেদ ও তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। সেজন্য আগামীকাল তাদের তলব করা হয়েছে।