স্থানীয়রা জানায় ছাত্রলীগ নেতা খোকা গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় প্রবেশ করে নানা অপকর্ম করার চেষ্টা করছিল। মঙ্গলবার বিকোলে স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে আটক করে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবের ভাতিজা জাইদুল ইসলাম বাবু আটকের খবর জানতে পেরে খোকাকে ছাড়িয়ে নিতে পিস্তল দিয়ে গুলিবর্ষণ করে। এতে এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবসায়ী মামুন গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় এলাকাবাসী জড়ো হয়ে ধাওয়া করলে পালিয়ে যায় বাবু।
উত্তেজিত এলাকাবাসী ছাত্রলীগ নেতা খোকাকে গণধোলাই দিয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত ব্যবসায়ী মামুনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে আহত ব্যবসায়ী মামুনের ভাই জানান, বিকেলে মোটরসাইকেলে তিন ব্যক্তি আসে। তাদের মধ্যে একজন হেলমেট এবং বাকি দুজনের মুখে রুমাল পেঁচানো ছিল। এদের মধ্যে বাবু নামে একজনকে চিনতে পেরেছি। সে গুলি করে।
মামুনের স্ত্রী জানায়, আমি বাসায় ছিলাম না। বাবার বাড়িতে গিয়েছিলাম। পরে বিকেলে জানতে পারি আমার স্বামীকে গুলি করা হয়। সে কোনো রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। সে নির্দোষ।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্ট) সালাউদ্দিন কাদের জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছিল উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছাব্বির হোসেন খোকা। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।