অভিযানে ম্যানেজার মিরাজ শিকদারকে (২৯) ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় এবং ল্যাবটি সিলগালা করা হয়। ফরিদপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি জানান, ফরিদপুর সেনা ক্যাম্পের গোয়েন্দা সূত্রের মাধ্যমে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি বলেন, ‘পশ্চিম খাবাসপুর এলাকায় একটি বসতবাড়িকে ব্যবহার করে ‘ডার্মা ল্যাব’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে লাইসেন্সবিহীন ওষুধ, বিউটি প্রোডাক্ট এবং কসমেটিকস উৎপাদন করে বাজারজাত করছে। প্রতিষ্ঠানটি ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স, নকল ব্র্যান্ডিং এবং জাল ভাউচারের মাধ্যমে এসব পণ্য তৈরি ও বিতরণ করছিল।’
মিরাজ শিকদার বলেন, ‘তথ্য পাওয়ার পরপরই ১৫ রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের একটি টহল দল, ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং স্থানীয় প্রশাসন যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। রাত ৯টায় অভিযানে অংশগ্রহণকারীরা ল্যাবটি ঘিরে ফেলে এবং ভেতরে থাকা ম্যানেজার মিরাজ শিকদারকে হাতেনাতে আটক করে।’
অভিযান দল জানায়, ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে প্রতিষ্ঠানটি কোনো বৈধ লাইসেন্স দেখাতে পারেনি। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক প্রসাধনী তৈরির অভিযোগে ডার্মা ল্যাবকে তাৎক্ষণিকভাবে সিলগালা করা হয়েছে।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির মালিক মাহমুদুল হাসান শিপনের (৩৩) বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের এবং ম্যানেজার মিরাজ শিকদারকে ঘটনাস্থলেই এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।