চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চারপাশ যেন ময়লা-আবর্জনার ভাগার। হাসপাতালটিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বাবদ প্রতিবছর মোটা অংকের বরাদ্দও দেয়া হয়।
তবে গেল জুন মাসে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী বাবদ ২০ লাখ এবং কম্পিউটার খরচ বাবদ বরাদ্দের আরও ৪ লাখ টাকার হদিস নেই। এমনকি বরাদ্দের অর্থ দিয়ে কেনা কোন উপকরণও পৌঁছায়নি হাসপাতালের স্টোর রুমে। যদিও, তথ্য বলছে পুরো টাকাই উত্তোলন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের প্রধান সহকারী আব্দুস ছবুর বলেন, ‘স্যারের কাছে জিজ্ঞেস করতে হবে। স্যার দেখাবে ওটা। পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী বাবদ ২০ লাখ টাকা সম্ভবত আসছে। আর ৪ লাখ টাকা কম্পিউটার খরচ বাবদ আসছে।’
বরাদ্দের টাকা কোন খাতে ব্যয় হয়েছে তারও কোন সদুত্তর নেই হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের কাছে। ক্যামেরার সামনে এই বিষয়ে কোন কথা বলবেন না বলেও সাফ জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বিদ্যুত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘ওটা নিয়ে আমি কোনো কথা বলবো না। প্রশ্ন করে লাভ নেই। সাংবাদিকরা পারলে যা ইচ্ছা করুক।’
বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষোভ জানায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনসহ স্থানীয়রা। অভিযোগ ওঠে হাসপাতালের টাকা আত্মসাতের।
স্থানীয়রা জানান, এসব দুর্নীতির কারণে সাধারণ জনগণ তাদের সেবা অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এটি খুবই উদ্বেগজনক এবং ভয়াবহ বিষয়। এখানে সিভিল সার্জন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য খাতের সবাই জড়িত বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এসবের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া দাবি জানান তারা।
অভিযোগ রয়েছে, এর আগেও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়কের মাধ্যমে ছয়টি টেন্ডারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করা নিয়েও স্বচ্ছতার প্রশ্ন উঠেছে।