ভৌগলিক অবস্থানগত সুবিধা আর দুই বিলিয়ন মানুষের বাজার হিসেবে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় হাব বলেও মন্তব্য করেছেন সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ।
মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব। সাম্প্রতিক কয়েক বছরে দেশটিতে পোশাকের পাশাপাশি, কৃষি ও খাদ্যপণ্য রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।
সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রায় ১.২০ বিলিয়ন ডলার। তবে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের নবনির্মিত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় সরাসরি সৌদি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রেড সি যুক্ত হওয়ায় বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচন হলো বলে মনে করেন সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রী।
পরিদর্শনের পর সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ বলেন, 'দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরো বাড়বে। সৌদি শিপিং কোম্পানির জাহাজ আসবে আগের চেয়ে বেশি। ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন,বৈশ্বিক আঞ্চলিক সংযোগর কারণে দুই বিলিয়ন মানুষের বাজার হিসেবে বাংলাদেশ হচ্ছে আগামী দিনের বিজনেস ও ট্রান্সশিপমেন্ট হাব।'
শুধু শিপিং নয়, আগামীতে বাংলাদেশের জ্বালানি, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো, প্রযুক্তি, কৃষিসহ ব্যবসার বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা আছে বলেও মনে করেন তিনি। ইতিমধ্যে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। বাংলাদেশে আসা সৌদির ৪০ সদস্যের বাণিজ্য প্রতিনিধি দল নানা খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, 'শুধু সৌদি আরব নয়, অন্যান্য দেশও বিনিয়োগ আগ্রহী। নির্বাচনের পর নতুন বিনিয়োগ দৃশ্যমান হবে।'
সৌদি কোম্পানীর সরাসরি বন্দরের টার্মিনাল পরিচালনায় যুক্ত হওয়ায় অন্যান্য দেশও বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ফ্রেইটফরওয়াডার্র অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি খায়রুল আলম সুজন।
গত সাত বছরে বাংলাদেশে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরব।