২০০৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হন আল ওয়ালিদ। তার মস্তিষ্কে প্রচণ্ড আঘাত ও অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের ফলে তিনি কোমায় চলে যান এবং দীর্ঘ সময় রিয়াদের কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আল ওয়ালিদ সৌদি ধনকুবের প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালালের ভাগ্নে এবং প্রিন্স খালেদ বিন তালালের জ্যেষ্ঠ সন্তান। ২০১৯ সালে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, কোমায় থেকেও তিনি আঙুল নাড়াতে সক্ষম হচ্ছেন; যা তার পরিবারসহ অনেকে আশার আলো হিসেবে দেখেছিলেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও স্পেনের অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের চেষ্টা সত্ত্বেও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তার বাবা প্রিন্স খালেদ কখনোই ছেলের লাইফ সাপোর্ট বন্ধ করার পক্ষে ছিলেন না। তার বিশ্বাস ছিল, জীবন ও মৃত্যু আল্লাহর হাতে। সেই বিশ্বাসেই তিনি বছরের পর বছর ছেলের পাশে থেকেছেন, প্রার্থনা করে গেছেন।
আজ (রোববার, ২০ জুলাই) বাদ আসর রিয়াদের ইমাম তুর্কি বিন আবদুল্লাহ মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রিন্স খালেদ।
ওয়ালিদের মৃত্যুতে সৌদি আরবজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে শোক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রেন্ড করছে #SleepingPrince হ্যাশট্যাগ। অনেকেই আল ওয়ালিদকে শুধু একজন রাজপুত্র নয়; ধৈর্য, বিশ্বাস ও এক বাবার নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে স্মরণ করছেন।