'পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে এপ্রিলেই দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে'

অর্থনীতি
0

পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে এপ্রিলেই দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, টাকা ফেরত আনতে ৩০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি বা সমঝোতা হচ্ছে। এদিকে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী মনে করেন, অর্থপাচার হওয়া দেশ টাকা ফেরত দিতে না চাইলেও অন্তর্বর্তী সরকারের চেষ্টায় তা ফেরত আনা সম্ভব।

বিগত ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। বর্তমান বাজারদরে যার পরিমাণ ২৮ লাখ কোটি টাকা। এই হিসাবে প্রতিবছর গড়ে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে।

৮ আগস্ট ক্ষমতা গ্রহণ করা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় পাচারকৃত এইসব অর্থ ফেরত আনা। যার ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।

অর্থনৈতিক কাঠামো পুনর্গঠন ও পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে সরকার গঠনের ৭ মাস পর প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নতুন বিশেষ সহকারী হিসেবে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সদ্য নিয়োগকৃত এই বিশেষ সহকারী কথা বলেন গণমাধ্যমে। বলেন, পাচারকৃত অর্থ কোনো দেশ ফেরত দিতে না চাইলেও অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ চেষ্টায় তা সম্ভব।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘যে জায়গায় টাকা গিয়েছে তারা বেনিফিশিয়ারি। আন্তর্জাতিক আইন তাই তারা সহজে ছাড়বে না। আমরা অতিদ্রুত কাজ করছি। আশা করছি আমরা সফল হবো।’

এসময় তিনি বলেন, ভঙ্গুর অর্থনীতি ও অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময় বিদেশি বিনিয়োগ না আসা স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, ‘আপনি এই সরকারকে বলছেন ইন্ট্রিম। এই শব্দতো অসুবিধাজনক। বিনিয়োগকারীরা তো তখন ভাববে এই সরকারের স্থায়িত্ব থাকবে কতদিন।’

এর আগে আজ (মঙ্গলবার, ১১ মার্চ) সকালে ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা জানান, টাকা ফেরত আনতে বিভিন্ন দেশের আইন অনুযায়ী ২০০ টি আইনি প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা হয়েছে এর মধ্যে ৩০ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি বা সমঝোতা হবে।

এসময় উপদেষ্টা বলেন, টাকা ফেরত আনার প্রক্রিয়াতে এপ্রিলেই দৃশ্যমান অগ্রগতির দেখা মিলবে।

সেজু