অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান ২৫ শতাংশেরও কম বলে জানান বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। বিশ্বের ব্যবসার ৭০ শতাংশ, কর্মসংস্থানের ৪৬ এবং জিডিপিতে ৫০ শতাংশ অবদান এমএসএমই খাতের। বিশ্বজুড়ে কর্মক্ষম দরিদ্র, নারী, যুবক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উন্নয়নের মেরুদণ্ড হিসেবে ভূমিকা রাখছে এ খাত। যে কারণে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অজর্নের শর্তগুলোর মধ্যে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত, এ খাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৩ লাখ ৪ হাজার ২৪১ কোটি টাকার ওপর। বৈদেশিক উৎসের ঋণের পরিমাণও বিশাল।
তারপর ও ঋণ,অবকাঠামো,কর্মপরিবেশ,সরকারি সহায়তা,ব্যবসা ডিজিটালে রূপান্তরসহ বৈশ্বিক নানা কারণে যদিও এসময়ে অনেক সম্ভাবনাময় এমএসএমই খাতের ব্যবসা ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
এমন বাস্তবিক প্রেক্ষাপটে দেশে উদযাপন হলো আন্তর্জাতিক অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এমএসএমই) দিবস। এবার এ দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনের চালিকাশক্তি হিসেবে এমএসএমইর ভূমিকা সম্প্রসারণ।’
সভায় অংশ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের ঝুঁকি নিতে হবে। দক্ষতা বৃদ্ধিতে জোড় দেওয়া উচিত।’
এ সময় বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ‘ব্যবসায়ীক নথিপত্র তৈরিতে অটোমেশন সিস্টেম এর ওপর গুরুত্বারোপ করা উচিত। সরকারের নানা উদ্যোগ রয়েছে খাত উন্নয়নে।’
এ খাতের প্রবৃদ্ধির মূল বাধা কী জানতে চাইলে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এসএমই খাত অযত্নে লালিত, এ খাতে অবজ্ঞা রয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।’
তিনি জানান, ২৭ শতাংশ অনাদায়ী ঋণ আছে এই খাতের, ঋণ গুরুত্বপূর্ণ তবে এই ঋণ নির্ভরতা থেকে বের হতে হবে খাত উন্নয়নে। নির্বাচন ইশতেহার ও জাতীয় সংসদে এই খাতের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে, না হলে এই খাত আগাবে না। এ সময় খাত উন্নয়নে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রয়োজন আছে বলেও মত দেন অন্য বক্তারা।
উল্লেখ্য, স্পেনের সেভিলায় ‘উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন’ শীর্ষক চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলন আর কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক দ্বিতীয় বিশ্ব সম্মেলনের মত দুটি বড় আন্তর্জাতিক আয়োজন কে সামনে রেখে উদযাপিত হচ্ছে এবারের এমএসএমই দিবস। অর্থনীতিতে ছোট ও মাঝারি উদ্যোগের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে এবং সচেতনতা তৈরিতে বিশ্বজুড়ে ২৭ জুন পালন করা হয় এ দিবস।