বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের উত্থান-পতনের সঙ্গে পাট চাষ আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা। ধরে রেখেছে এ দেশের কৃষক আর অর্থনীতির জোয়াল।
যুক্তরাজ্যের ইস্ট লন্ডনে পাট শিল্পের বাণিজ্যিক বিপ্লব, ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরে তিনদিন ব্যাপী পাট পণ্য প্রদর্শনী হয়েছে। বাংলাদেশি দর্শনার্থীদের পাশাপাশি অনেক ভিনদেশিও ছিলেন। আগ্রহ ভরে দেখেন বাংলাদেশি এসব পণ্য।
সোনালী আঁশে তৈরি বিভিন্ন পণ্য নিয়ে অংশগ্রহন করেছেন অনেকে। জন্মলগ্ন থেকে পাটকলগুলো শুধু দড়ি, বস্তা আর চটের ওপর নির্ভর করে এগিয়ে গেলেও এখন এসব পণ্যে আছে ভিন্নতা। তৈরি হচ্ছে ব্যাগ, অলংকার সামগ্রী, তৈজসপত্র, ড্রেস, শাড়ি, পাঞ্জাবিসহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী। তুলে ধরা হয়েছে প্রাচীন পদ্ধতিতে পাট দিয়ে তৈরি ফ্রিজ।
প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারীরা বলছেন যুক্তরাজ্যে এ ধরণের পণ্যের বিপুল চাহিদা আছে। রয়েছে ব্যাপক বাণিজ্যিক সাফল্যের সম্ভাবনাও।
আরও পড়ুন:
উদ্যোক্তা কাজী মাহজাবিন বলেন, ‘এখানে আসতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। আজকে অনেক নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পেরেছি। জুটের ইতিহাস নিয়ে আরও কিছু জানতে চাই। এর ইতিহাস নিয়ে আমি আরও পড়াশুনা করতে চাই।’
উদ্যোক্তা সঞ্চিতা মুখার্জি বলেন, ‘ব্যাগ, অলংকার সামগ্রী এসব জিনিসপত্রে নানা বয়সের মহিলারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন।’
বাংলায় বাণিজ্যিকভাবে পাটচাষের সূচনা ১৮৫০-এর দশক থেকে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি পাট পণ্যের অবদান ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই। সেসময়ই ব্রিটেনে রপ্তানি হতো পাট। স্কটল্যান্ডের ড্যান্ডি শহরেরও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসে বাংলার পাটেই।
আয়োজকরা বলছেন, ব্রিটিশদের সেই ঐতিহ্যের সঙ্গে আবারও পরিচয় করিয়ে দিতেই এ আয়োজন।
জুট দ্যা গোল্ডেন ফাইবার অফ বেঙ্গল প্রজেক্ট সমন্বয়ক মোহাম্মেদ আহমেদুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশের চাষিদের অবদান তুলে ধরা হয়েছে। অর্থনীতিতে কৃষতের অবদান দেখানোর জন্যই এ আয়োজন।’
বিশ্বের মোট পাটের ৯০ শতাংশ উৎপাদিত হয় বাংলাদেশ ও ভারতে। এককভাবে বাংলাদেশ বিশ্বে উৎপাদিত কাঁচা পাটের ৪০ শতাংশ উৎপাদন করে। সোনালি আঁশের সুদিন ফিরলে দুর্দিন কাটবে বাংলাদেশের।